মঙ্গলবার (১৪ মে) হঠাৎ করেই চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর ২৫ থেকে শতভাগ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জানান, সোলার প্যানেলে আরোপ করা হবে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ শুল্ক। ইস্পাত আর অ্যালুমিনিয়ামে শুল্ক বাড়িয়ে তিনগুণ করা হবে। মূলত অসম নীতির বিরোধিতা করে দেশের চাকরির বাজার সুরক্ষিত রাখতেই এই উদ্যোগ মার্কিন প্রশাসনের।
জো বাইডেন জানান, কোনোভাবেই চীনকে দেশের বাজার অনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে দেওয়া হবে না। শুল্প আরোপ করা হবে ব্যাটারি, কম্পিউটার চিপ, সেমিকন্ডাক্টর আর স্বাস্থ্যসুরক্ষা পণ্যেও। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, এর প্রভাব ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের চীনা আমদানি পণ্যে পড়বে।
মার্কিন পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চীন থেকে ৪২ হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে রপ্তানি করেছে ১৪ হাজার কোটি ডলারের পণ্য। বাণিজ্যে এই ব্যবধান ভাবাচ্ছে ওয়াশিংটনকে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে হোয়াইট হাউজ বলছে, ট্রাম্পের ২০২০ সালে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি আর চাকরির বাজার, কোনোটায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। হোয়াইট হাউজ বলছে, চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বচ্ছ থাকা উচিত।
শুল্ক আরোপের এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ চীনের অটোমোবাইল ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ির বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না চীন। বাণিজ্যকে এভাবে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করলে অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি বিশ্ববাজারে অটোমোবাইল খাত ও বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মত তাদের।