প্রযুক্তির বাজার দখল করে নিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। বিশ্বে টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলো এখন তাই সেদিকেই ঝুঁকছে। গুগল, মাইক্রোসফট, মেটা সবাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিশাল আকারে বিনিয়োগ করছে। এতে লাভের অংক বাড়ছে কোম্পানিগুলোর।
গুগলের সহপ্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের শেয়ারের মূল্য গত তিন মাসে বেড়েছে ১১ শতাংশ। এ সময়ে তাদের রাজস্ব দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। যা আগের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। এক বছরে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ৫৭%। যা প্রায় ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমান।
গুগলের প্রধান সুন্দর পিচাই জানান, কোম্পানির এমন লাভের পেছনে বড় কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। এআই প্রযুক্তির টেক্সট-টু-ইমেজ মডেল গুগলের আয় বাড়িয়েছে দ্বিগুণ।
তিনি বলেন, 'আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তি থেকে আরও সুবিধা পাবো। এআই প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এআই গবেষণা ও উদ্ভাবন ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।'
আরেক টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট প্রথম তিন মাসে মুনাফা করেছে প্রায় ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০ শতাংশের বেশি। এক বছরে তাদের বিক্রি বেড়েছে ১৭ শতাংশ। একই সময়ে মাইক্রোসফট ক্লাউডের আয় দাঁড়িয়েছে ৩৫ বিলিয়ন ডলারে। আগের বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি মাইক্রোসফ্ট সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থা জি ফোরটিটুতে দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে। যা কোম্পানিটিকে অল্প সময়ে মুনাফার দিকে নিয়ে গেছে।
মাইক্রোসফটের সিইও সাত্যে নাদেলা বলেন, 'যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে ঝুঁকছি। এআই প্রযুক্তিকে সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে। এআই প্রযুক্তিকে নিরাপদ, বিশ্বস্ত ও দায়িত্বশীল উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।'
এদিকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেটা এআই প্রযুক্তিতে প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসে মেটার আয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কোম্পানিটির রাজস্ব আয় বেড়েছে ২৭ শতাংশ।
টেক জায়ান্ট মেটা, গুগল, মাইক্রোসফটের পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি এখন মহাকাশ গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। যদিও এআই প্রযুক্তির কারণে মাল্টিবিলিয়ন-ডলারের প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির মুখে পড়ছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।