ওসি কবির হোসেন জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ধর্ষক রাকিবের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলার ঘটনায় এর আগে মো. হেলাল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। রাকিব উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ১ মার্চ ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। পরদিন ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় সালিসি বৈঠকের আয়োজন করে। কিন্তু সেখানে কোনো বিচার পায়নি কিশোরী। উল্টো তাকে অপবাদ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে কিশোরীকে বাড়িতে রেখে মা বাড়ির পাশের জমিতে ফসল দেখতে যায়। তখন সালিশি বৈঠকে থাকা হেলাল বাড়িতে ঢুকে কিশোরীসহ তার মাকে চুল কেটে এলাকায় ঘুরানোর হুমকি দেয়। এতে মানসিক চাপে দুপুরে সে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
থানা পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় শুক্রবার (৭ মার্চ) ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রামগতি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাকিবসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন মো. আজাদ, জামশেদ উদ্দিন ও মো. বাশারসহ ১০ জন। তারা পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রাকিবের সঙ্গে প্রায় ৭ মাস ধরে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এতে ১ মার্চ রাতে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে রাকিব ধর্ষণ করে।
ঘটনাটি কিশোরীর মা টের পেয়ে ঘরে ঢুকলে রাকিব পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি ভুক্তভোগী পরিবার রাকিবের বাবা-মাকে জানায়। এতে তারা কাউকে কিছু জানাতে নিষেধ করে।
কিন্তু পরদিন ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। এতে মামলায় অভিযুক্তরাসহ একটি সালিসি বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে ধর্ষণের ঘটনায় কোন বিচার করা হয়নি। উল্টো কয়েকজন কিশোরীকে অপবাদ দেয়।
এরমধ্যে গত বৃহস্পতিবার মামলায় গ্রেপ্তার হেলাল বাড়িতে ঢুকে কিশোরীসহ তার মাকে চুল কেটে গ্রামে ঘুরানোর হুমকি দেয়। এটি সহ্য করতে না পেরে কিশোরী আত্মহত্যা করে।