প্রথমবার ভোটাধিকার পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা; চান নিজস্ব প্রতিনিধি ও প্রবাসীবান্ধব সরকার

কানাডার একটি জায়গার ছবি | ছবি: এখন টিভি
0

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা বলছেন, শুধু ভোটই দিতে চান না, নির্বাচিত সরকারের কাছে প্রবাসীদের প্রতিনিধিও চান। নতুন সরকার প্রবাসীবান্ধব হলে রেমিট্যান্স প্রবাহ যেমন বাড়বে তেমনি অর্থনীতিও হবে আরও শক্তিশালী।

স্বাধীনতার পর কখনোই প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না কোনো ধরনের নির্বাচনে। তবে এবারের নির্বাচন হতে যাচ্ছে বেশ ভিন্ন। প্রবাসীরা ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। তারাও বেছে নেবেন, এলাকার পছন্দের প্রার্থী।

কানাডা, টরন্টোর প্রবাসী তানিম চৌধুরী বলেন, ‘চলুন আমরা রেজিস্ট্রেশন করি অন্যদেরও রেজিস্ট্রেশন করতে উৎসাহিত করি। দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে প্রবাসীরাও সমান অংশীদার। আমি অনেক খুশি কারণ অবশেষে আমোদের কণ্ঠ দেশের ভবিষ্যৎে দেখা যাবে।’

বর্তমানে ভোটার নিবন্ধন অ্যাপের মাধ্যমে নাম লেখাতে পারছেন প্রবাসীরা। সেখানে নিবন্ধন চূড়ান্ত করলেই ব্যালট পেপার চলে যাবে ভোটারদের কাছে, হবে আগাম ভোট। কিন্তু অনেকেই এখনও জানেন না নিবন্ধন কীভাবে করতে হয়!

আরও পড়ুন:

প্রবাসী কবি ও লেখক সৈয়দ আনোয়ার রেজা বলেন, ‘ভোটিং ব্যবস্থায় অ্যাপসটি কতটুকু সুযোগ সুবিধা দিতে পারবে, কতটুকু সময় বাঁচাতে পারবে, সঠিক তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছাবে কিনা এসব আসলে দেখার বিষয়।’

নির্বাচিত সরকারে প্রবাসীদের প্রতিনিধির পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালনায় একজন যোগ্য প্রবাসীকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি কানাডার অনেক অভিবাসীর।

কানাডা প্রবাসী পাইলট আহসান হাবিব বলেন, ‘প্রবাসীদের জন্য যেন একটি প্রতিনিধি রাখা হয়। পাশাপাশি প্রবাসীদের জন্য যোগ্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় যেন একজন যোগ্য প্রবাসী দ্বারা পরিচালিত হয়। কারণ প্রবাস জীবনের যেই সমস্যা-সংগ্রাম প্রবাসী ছাড়া কখনই সমাধান করা সম্ভব নয়।’

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসীদের ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ভোটারপ্রতি খরচ ৭০০ টাকা। নতুন সরকার প্রবাসীবান্ধব হলে, তাদের দাবি দাওয়া পূরণ করলে বাড়বে রেমিট্যান্স প্রবাহ। সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার পরামর্শ এখন দেশের বাইরে সর্বমহলে।

এফএস