কাতারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক গার্মেন্টস পণ্য প্রসারে কাজ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। দেশটিতে বাংলাদেশের মালিকানাধীন তেমন কোন তৈরি পোশাক শিল্পের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে না ওঠায় অনেকটা পিছিয়ে এ খাতের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশের তৈরি পোশাককে ব্র্যান্ডিং করার সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত প্রবাসী ব্যবসায়ীরা।
পশ্চিমা দেশগুলোতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শীর্ষস্থান দখল করলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বা গার্মেন্টস পণ্যের বাজার। তবে কাতারে দিন দিন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা বাড়ছে।
বাংলাদেশি তৈরি পোশাক মেলে, কাতারে এমন দোকান ৫শ'র বেশি। ২৩ হাজার বর্গমিটারের প্লাজা মল এশিয়ান টাউন শপিং সেন্টারে রয়েছে তৈরি পোশাকের শতাধিক দোকান। এছাড়া দোহার অনেক দোকানেই বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পাওয়া যায়।
প্রবাসীদের একজন বলেন, ‘বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা আছে এখানে।’
প্রবাসী ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘বাংলাদেশি পণ্য আমরা বেশির ভাগ প্রেজেন্ট করি। কাতারে আমাদের পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে।’
কাতারে তৈরি পোশাক শিল্প ও ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পাঁচ হাজারের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি। বিক্রেতারা বলছেন অন্যান্য দেশের অভিবাসীরাও বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ব্যবহার বাড়িয়েছেন।
কাতারে বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যের প্রসারে কাজ করছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
কাতার জে অ্যান্ড এফ ফ্যাশন সত্ত্বাধিকারী মো. ফয়সাল রানা বলেন, ‘ইউরোপ, আমেরিকা আমাদের পোশাক শিল্পের যেমন সুনাম আছে কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে এখনো তেমন সুনাম নেই। আমরা এই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।’
কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে তৈরি পোশাকের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি এবং দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার আহ্বান প্রবাসী ব্যবসায়ীদের।