ই-পাসপোর্ট তৈরিতে প্রবাসীদের ভ্রাম্যমাণ সেবায় নেমেছেন কাতারে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসের পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এতে পাসপোর্ট তৈরির দুশ্চিন্তা থেকে রেহাই পেয়েছেন দূতাবাস থেকে দূরের শহরে কর্মরত রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।
দূতাবাসে না গিয়েই পাসপোর্ট ফেরিওয়ালাদের সেবা পেয়ে খুশি প্রবাসীরা। এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান তাদের।
প্রবাসীদের একজন বলেন, ‘বাংলাদেশ দূতাবাসে কাজের চাপের কারণে যেতে পারি না। এখানে যে সার্ভিস পেয়েছি তা অনেক ভালো।’
আরেকজন বলেন, ‘মোবাইল সার্ভিসের কারণে এখন আর পাসপোর্টের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসে যেতে হয় না।’
মূলত সারাবিশ্বে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমআরপি পাসপোর্ট নবায়ন বন্ধ করার পর দূতাবাসগুলোতে ই-পাসপোর্ট আবেদনের চাপ বেড়েছে। কাতার দূতাবাসও এর বাইরে না। এমন অবস্থায় দূতাবাসে পাসপোর্ট সেবার চাপ কমাতে এবং প্রবাসীদের ব্যস্ততা বিবেচনায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন দোহার দূরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভ্রাম্যমাণ ই-পাসপোর্ট সেবার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তাদের একজন বলেন, ‘সাপ্তাহিক ছুটির দিন দূতাবাস থেকে দূরে এমন জায়গা থেকে যাদের আসতে কষ্ট হয় সেখানে আমাদের টিম গিয়ে পাসপোর্টের কাজগুলো করে থাকে।’
এই প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ প্রবাসীদের সেবা দেয়ার লক্ষ্যে, অনলাইনের মাধ্যমে ই-পাসপোর্টের আবেদন ফরম পূরণ করে নির্দিষ্ট ভ্রাম্যমাণ পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মূল পাসপোর্ট, ফটোকপি, কাতারের আইডির ফটোকপি, বাংলাদেশের এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন নিয়ে যেতে হবে।