বাংলাদেশ দূতাবাসের টানা ছুটির ঘোষণা, ভোগান্তিতে পড়বেন প্রবাসীরা

প্রবাস
0

ফ্রান্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের টানা ছুটির কারণে চরম ভোগান্তির শঙ্কায় রয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সম্প্রতি দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে, মার্চ ও এপ্রিল মাসে বিভিন্ন জাতীয় ও ধর্মীয় দিবস উপলক্ষ্যে টানা সাত দিন কনস্যুলার সেবা বন্ধ থাকবে। দীর্ঘ এই ছুটির মধ্যে ফ্রান্সের সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হয়ে টানা নয়দিনের বন্ধ থাকবে প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় নানা সেবা। আর এতে করে গুরুত্বপূর্ণ কনস্যুলার সেবা নিতে আসা হাজারও প্রবাসী বাংলাদেশিরা দুর্ভোগের শিকার হতে পারেন।

ফ্রান্সস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে পোস্ট করা বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় আগামীকাল (বুধবার, ২৬ মার্চ) স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) শবে কদর, শুক্রবার, (২৮ মার্চ) জুমাতুল বিদা, ৩১ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত (সোমবার থেকে বুধবার) ঈদ-উল-ফিতর এবং ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সরকার ঘোষিত ছুটি রয়েছে।

এর মধ্যে ফ্রান্সের সাপ্তাহিক ছুটি শনিবার ও রোববার যোগ হলে ২৫ মার্চের পর আর ৪ এপ্রিল একদিন খোলা রাখার পর আবার সাপ্তাহিক ছুটির ২ দিন বন্ধ থাকবে। কার্যত প্রায় ১১ দিনের এক দীর্ঘ ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছেন ফ্রান্সে প্রবাসীরা।

একাধিক প্রবাসীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রবাসীদের মধ্যে অনেকেই ইতোমধ্যে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু এখনও বায়োমেট্রিক প্রদানের তারিখ পাননি। দীর্ঘদিন দূতাবাস বন্ধ থাকায় তাদের আবেদন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে। পাশাপাশি, যাদের প্রিফিচারে বিভিন্ন নথিপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ঘনিয়ে আসছে, তারা বিশেষ সমস্যার মুখে পড়বেন।

জাহিদ আহমদ নামে এক প্রবাসী জানান, আগামী সোমবার আমার ফাইল জমার নির্ধারিত তারিখ। ৫ বছর অপেক্ষার পর এই রেন্দেবু (অ্যাপার্টমেন্ট) পেয়েছি। এখন দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি জাতীয়তা প্রত্যয়ন প্রয়োজন। হঠাৎ করে এই বন্ধের খবরে আমি দুশ্চিন্তায় আছি কেমনে কি করবো।

আতিকুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, 'আমার ছেলে পাসপোর্টের আবেদন করেছি প্রায় দেড় মাস এখনও বায়োমেট্রিক দেওয়ার ডেইট পাইনি। আগামী জুনে পরিবার নিয়ে আমার দেশে যাওয়ার কথা এখন এই ছুটির নোটিশ দেখে মনে হচ্ছে না দেশে যাওয়া সম্ভব হবে। কারণ নরমালভাবেই বায়োমেট্রিক দেওয়ার জন্য দেড় থেকে ২ মাস সময় নিচ্ছে দূতাবাস, তারপর এগুলো পাঠানো হবে রেডি হবে তারপর ডেলিভারি। মনে হচ্ছে না এবার সময়মতো দেশে যেতে পারবো।'

ফ্রান্সে ইমিগ্র্যান্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আইসা প্রো'র পরিচালক ওবায়দুল্লাহ কয়েছ বলেন, 'টানা এই ছুটির কারনে সবচেয়ে বেশী বিপাকে পরতে পারেন ইমিগ্র্যান্ট প্রত্যাশী অনেকে যাদের এই দিনগুলোতে ফাইল জমা করার পূর্ব নির্ধারিত তারিখ রয়েছে। কারণ দূতাবাসের প্রত্যয়ন ছাড়া ফাইল জমা দেওয়া সম্ভব হবে না। আমি দূতাবাস কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানবো, যাতে জরুরি সেবা ও যাদের জরুরি নথি প্রয়োজন, তাদের সুবিধার্থে দূতাবাসের একটি বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া উচিত।'

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দূতালয় প্রধান ওয়ালিদ বিন কাশেম এর মোবাইল নাম্বারে কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।

এসএস