দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ওপর নির্ভর করতে হয় বাংলাদেশ সরকারকে। অথচ, পাসপোর্ট ডেলিভারি নিয়ে গেল চার মাস ধরে কয়েক দফায় অভিযোগ জানানোর পরও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা। যদিও, সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশ থেকে পাসপোর্ট আসছে না।
প্রবাসীদের অভিযোগ, সময়মতো পাসপোর্ট না এলে আকামা করতে গিয়ে জটিলতায় পড়তে হবে। জরিমানা বাবদ খরচ হবে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
একজন প্রবাসী বলেন, 'আমাদের পাসপোর্টটা যদি তিন থেকে চার মাসেও না পাই, আকামা যদি না হয়, আমরা টাকা পাঠাবো কীভাবে? পাসপোর্ট যতদ্রুত হবে আমাদের জন্য তত উপকার হবে।'
সৌদি আরবের প্রবাসী সেবা কেন্দ্র পাসপোর্ট শাখার ইনচার্জ আবুু সায়েদ মো. তারেক বলেন, 'এখানে যারা আছে, প্রতিটি রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে আকামা করতে হয়ে প্রতিবছর। একটি নির্দিষ্ট টাইমে আকামা করতে না পারলে ফাইনের আওতায় পড়তে হয়। একজন প্রবাসীকে আমরা সময়মতো পাসপোর্ট দিতে না পারায়, বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট না আসায় অনেক প্রবাসীরই ফাইন আসছে। যেটা বাংলাদেশি টাকায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মতো।
যদিও, এমআরপি পাসপোর্ট আনার বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পাসপোর্টগুলো হাতে পেলেই প্রবাসীদের জানানো হবে এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা যাবে নবায়নকৃত পাসপোর্ট।
যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা বলেছেন, সময়মতো পাসপোর্ট না পেলে কাজের অনুমতিপত্র বা আকামা সংগ্রহ করতে পারবেন না। আর, আকামার মেয়াদ না থাকলে, ছুটি নিয়ে দেশেও যেতে পারবেন না তারা।
একজন প্রবাসী বলেন, 'এখন থেকে চার মাস আগে পাসপোর্ট জমা দিয়েছি, কিন্তু এখনও পাসপোর্ট পাচ্ছি না। এখনও আকরমাও পাচ্ছি না।'
এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সব ধরনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রবাসীরা। তারা বলছেন, পাসপোর্ট জটিলতার কারণে যদি কাজের অনুমতি বা আকামা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হন, ভাটা পড়তে পারে রেমিট্যান্স প্রবাহেও।