নিহতরা হলেন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ইউসুফ (৫৮) এবং কুমিল্লার বাবুল (৪৩)। বাবুল কিছুদিন আগে ভার্জিনিয়া থেকে বাফেলোতে আসে এবং ইউসুফ বাংলাদেশ থেকে আসেন।
তারা একটা বাড়িতে সংস্কারের কাজ করছিলেন, এমন অবস্থায় অজ্ঞাতদের গুলিতে নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেকজন মারা যান।
স্থানীয়দের ধারণা, কৃষ্ণাঙ্গরা তাদেরকে হত্যা করেছে। বাড়ি নির্মাণের কাজের সময় কৃষ্ণাঙ্গরা চাঁদা দাবি করলে তা দিতে অস্বীকার করলে বাবুলকে গুলি ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এ সময় ইউসুফকেও গুলি করে বন্দুকধারীরা।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মৃত্যুবরণ করেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তাদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দুপুরের পর থেকে খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। বাঙালি কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়ে শোক ও আতঙ্ক।
বাফেলোর কমিউনিটি একটিভিস্ট হাবিব রহমান বলেন, ‘বাবুল ভাইয়ের বেশ কয়েকটি বাড়ি আছে ওই এলাকায়। যেখানে তিনি খুন হন, সেই বাড়িটি তিনি সংস্কার করছিলেন ইউসুফ মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে। বাবুল ভাইয়ের সাত সন্তান। ইউসুফ ভাইয়ের দুই সন্তান ও স্ত্রী সন্তানসম্ভাবা। আমরা এ ঘটনার সুস্থ তদন্ত ও বিচার চাই।’
স্থানীয় গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রতিবেশী ক্রিস্টাল টোর্লাকোভিচ বলেন, ‘আক্রান্ত বাড়িটির ঠিক পাশেরটি আমার। খুবই ভয়ঙ্কর ব্যাপার। কারণ এখানেই আমি ও আমার মা বসবাস করি।’
তিনি বলেন, ‘বুঝতেই পারিনি হঠাৎ কিভাবে গুলির ঘটনাটি ঘটলো। পশ্চিম দিকের রাস্তা ও বাড়িঘর এখনও অসম্পূর্ণ। তবে এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। প্রতিবেশী হিসেবে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে।’