অমাবস্যা ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রাবনাবাদ নদের তীব্র স্রোতে চম্পাপুর ইউনিয়নের ১২০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে পড়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পটুয়াখালী সদরের বোর্ডবাজার এলাকার ২০ মিটার বেড়িবাঁধ।
পাশাপাশি দুমকি উপজেলার কচাবুনিয়ায় ১০০ মিটার, দশমিনা উপজেলার আউলিয়াপুরের ২৫০ মিটার, হাজির হাটে ৫০ মিটার, গলাচিপার চর মহিউদ্দিনের ৪০ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের দাবি, জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করা না হলে হুমকির মুখে পড়বে এ অঞ্চলের জীবন-জীবিকা।
এদিকে চাঁদপুরে নিম্নচাপের প্রভাবে একটানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বাড়ায় ক্ষতির মুখে হাইমচর উপজেলার হাজারো কৃষক। উপজেলার মহরমপুর চরভাঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হেক্টর ফসলি জমি এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, আউশ ধান ১৫ হেক্টর, আমন ধানের বীজতলা ৭ হেক্টর, পান ১৫ হেক্টর, সুপারি ১০ হেক্টর, আখ ১ হেক্টর ও সবজির ৫ হেক্টর জমি জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষকরা বলছেন, পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা না থাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। জমির ফসল নষ্ট ও চাষাবাদের সুযোগ না থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।
এদিকে, চট্টগ্রাম নগরীতেও রাতভর একটানা বৃষ্টিতে বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়ক থেকে নেমে যায় পানি।





