রবিবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় হঠাৎ কালবৈশাখীর তাণ্ডবে এসব ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বেলা ১২ টায় নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তীব্র বাতাস ও বজ্রপাত সহ হানা দেয় কালবৈশাখী ঝড়। এসময় ঝড়ের কবলে হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের মানিক বাজারের সোনাদিয়া মডেল নুরানি মাদ্রাসার টিনশেড ঘরটি উড়ে যায়। এছাড়া হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের টিনশেড ভবন ও বিধ্বস্ত হয়। তীব্র বাতাসে জেলার বেশ কিছু এলাকায় গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে।
ঝড়ের কবলে সোনাদিয়া মডেল নুরানি মাদ্রাসার টিনশেড ঘরটি উড়ে যায়।
সোনাদিয়া মডেল নুরানি মাদ্রাসার সভাপতি আবুল হাসেম জানান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আমাদের মাদ্রাসাটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখানে ১২০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। আজ হঠাৎ ঝড়ে আমাদের পুরো ভবন উড়ে গেছে৷ আমাদের প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আবার সবাই মিলে চেষ্টা করে ভবনটি নির্মাণের কাজ শুরু করতে হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা চায়।
হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শারফুদ্দিন বলেন, 'ঝড়ে কলেজের টিনশেড ভবনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ভবনে ৪ টি শ্রেণীকক্ষ ছিল যেখানে ক্লাস কার্যক্রম চালানো হতো'
হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে সোনাদিয়া ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসা সহ কিছু গাছপালা ক্ষতির খবর পেয়েছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হবে।'
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, আজকের কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার বেশকিছু জায়গায় ক্ষতির খবর পেয়েছি। এখন পর্যন্ত সব তথ্য আমাদের হাতে আসেনি। তথ্য পাওয়ামাত্র আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবো।