তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের দুই বছরের মাথায় আওয়ামী লীগকে স্বাস্থ্যখাতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। করোনা মহামারি সামলাতে পুরো বিশ্বের যখন হিমশিম অবস্থা তখন বাংলাদেশের মতো দেশ হয়ে ওঠে অতি ঝুঁকিপূর্ণ। সে সময় ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের বাইরে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে করোনা মহামারি মোকাবিলা করতে হয়েছে। জরুরি ও তাৎক্ষণিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হয়েছে, এর মধ্যে দ্রুত ২১ কোটি ভ্যাকসিন প্রয়োগ ছিল উল্লেখযোগ্য।
৫ বছর আগের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল, কমিউনিটি ক্লিনিক, হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো, নার্স, চিকিৎসক ও মেডিকেল টেকনোলোজিস্টদের পদ বাড়ানোসহ আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান। এর কিছু পূরণ হলেও চাহিদার তুলনায় চিকিৎসা সংকট রয়ে গেছে। জটিল রোগীদের এখনও বিভাগীয় শহর থেকে রাজধানীতে ছুটে আসতে হয়।
এমন অনেক না পাওয়াকে সঙ্গী করেই এবারও স্বাস্থ্যখাতের নানা পরিকল্পনা তুলে ধরে ইশতেহার দেয়া হয়েছে। যার উল্লেখযোগ্য হলো স্বাস্থ্য সেবা সুলভ করার অঙ্গীকার।
সর্বাধুনিক স্বাস্থ্য সেবার অংশ হিসেবে বিশ্বমানের হাসপাতাল নির্মাণ, প্রবীণদের রোগ নিরাময় ও পুনর্বাসনসহ বেশকিছু অঙ্গীকার ইশতেহারে রয়েছে। তবে বাজেট বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্নীতি বন্ধ করা না গেলে স্বাস্থ্য খাতে আমূল পরিবর্তন সম্ভব নয় বলে মত সরকারদলীয় এই প্রার্থীর।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান বলেন, বাজেট কম একটি বিষয়, আবার বাজেটের বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে দুর্নীতি প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ, এটি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সরকার বেকায়দায় পড়ে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।
ওষুধ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান খসরু বলেন, দেশের স্বাস্থ্য সেবায় একজন রোগীকে ওষুধে সর্বোচ্চ খরচ করতে হয়। কিন্তু ওষুধের দাম কমাতে ইশতেহারে তেমন কোন ইঙ্গিত নেই বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।
ইশতেহারে নানা ধরনের অঙ্গীকার থাকলেও স্বাস্থ্যে ব্যবস্থার কাঠামো কেমন হবে বা কীভাবে সেই মডেল কাজ করবে ইশতেহারে সে বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা নেই।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্যখাত বিষয়ে রাজনীতিবিদদের সংবেদনশীল করার পাশাপাশি জনসাধারণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।