আজ থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তবে ব্যস্ততা নেই কিশোরগঞ্জের বিন্নাটি ইউনিয়নের কয়ারখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষার্থীর। স্কুলটিতে পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল এই দশ জনেরই। তাদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের গাফলতিতে প্রবেশপত্র না পেয়ে আরও এক বছরের জন্য পিছিয়ে পড়ার দুশ্চিন্তায় তারা।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। তাদের অভিযোগ, ফরম পূরণের ফি বাবদ প্রতিটি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকা করে নেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে প্রবেশপত্র পেতে দেরি হওয়ায়, কয়েকদিন আগে জানতে চাইলে আশ্বস্ত করেন প্রধান শিক্ষক। তাতেও মেলেনি পরীক্ষা দেয়ার মূল্যবান কাগজটি। এখন শিক্ষকরা উল্টো বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।
এই ১০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন বলেন, 'স্যার বলে স্টুডেন্টের লাইফ নষ্ট হবে মানে কী? একটা বছর গেলে যাক, এটা কোনো ব্যাপারই না।'
এদিকে ওয়েবসাইট জনিত সমস্যার কারণে তাদের প্রবেশপত্র আসেনি বলে দাবি কয়ারখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গাফফারুল ইসলাম সামিমের।
তিনি বলেন, 'ওয়েবসাইট না খোলার কারণে আমরা পাচ্ছি না। অধিদপ্তরের একজন লোকের সাথেও আমি যোগাযোগ করেছি। এখন ছাত্রদের যে অর্থটা নেয়া হয়েছে সেটা আমি ফেরত দিবো।'
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে বলছেন জেলা শিক্ষা অফিসার।
কিশোরগঞ্জের জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকছুদা বলেন, 'পরীক্ষার আগের মুহূর্তে এটা কতটা সম্ভব? তারা একরকম প্রতারণার শিকার হয়েছে। টাকা পয়সা নিয়েছে ঠিকই কিন্তু ফরম-ফিলাপ করেনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।'
এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি অভিভাবকদের।