‘ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক প্রস্তাব গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে’

বাজেট
অর্থনীতি
0

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এনবিআরের পরামর্শক কমিটির সভায় বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, 'আগামী অর্থবছরের বাজেটের জন্য ব্যবসায়ীদের দেওয়া প্রস্তাবসমূহ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে।'

গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে এনবিআরের ৪৪তম পরামর্শক কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, 'দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে সরকার এবং বেসরকারি খাত সবাই মিলে একসাথে কাজ করবো। বাজেট প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন একটা চলমান প্রক্রিয়া। সকল কার্যক্রমে বেসরকারিখাতের মতামতের গুরুত্ব থাকবে।'

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, 'ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আগামী বাজেটের জন্য যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তার অধিকাংশ অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে। সবাই যদি কেবল অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য করতে চান, তাহলে রপ্তানি বাড়বে না।'

তিনি রপ্তানি বহুমূখীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, 'রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও রপ্তানি সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।'

ব্যবসায়ীরা কর ন্যায়পাল নিয়োগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'কর ন্যায়পাল নিয়োগের বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে সরকার ও ব্যবসায়ী সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।'

এনবিআর চেয়ারম্যান, 'উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণের প্রেক্ষাপটে আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ও রাজস্ব ব্যয়ের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। একইসাথে কর আহরণের সক্ষমতাও বৃদ্ধি করতে হবে। এই সক্ষমতা অর্জন করতে না পারলে উন্নত বিশ্বে আমরা যেতে পারবো না।'

ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, 'কর সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ব্যবসায়ীর যদি অসন্তোষ থেকে থাকে, আমি মনে করি সেটি ব্যক্তি পর্যায়ের। এই অসন্তোষ সংশ্লিষ্ট কমিশনার কিংবা রাজস্ব বোর্ডে কথা বলে সমাধান করা সম্ভব হবে।'

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম মূল্যস্ফীতি এবং মানুষের প্রকৃত আয় বিবেচনায় রেখে আগামী জাতীয় বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেন।

আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ও সুশাসন নিশ্চিতকরণে ব্যাংকিং কমিশন গঠনেরও প্রস্তাব দেয়া হয় এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, কেউ যদি এনবিআরের কোনো কর্মকর্তার কারণে হয়রানির শিকার হন। সেই অভিযোগ জানানোর জায়গা নেই।

তবে এফবিসিআিই এবং এনবিআরের সমন্বয়ে একটা অভিযোগ সেল গঠন করা হলে ব্যবসায়ীরা সেখানে অভিযোগ করতে পারবেন। আগামী বাজেটে এ ধরনের একটা অভিযোগ সেল গঠনের প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া এফবিসিসিআই ব্যবসা সহজীকরণের সেবা বাড়াতে ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন বিভাগ নামে একটি বিভাগ গঠনের প্রস্তাব করেন।

সভায় এনবিআরের তিনজন সদস্য আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস সম্পর্কিত কার্যক্রমের উপর আলাদা তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এসএস