যারা কখনো বিমানে চড়েনি, প্রথমবার ভ্রমণ করছেন তাদের অনেক তথ্যই জানা থাকে না। ফলে বিমানবন্দরে গিয়ে তথ্য ঘাটতিসহ নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বিশেষ করে বোডিং পাস কোথায় নেবেন, ইমিগ্রেশন কোথায় হবে, যাত্রী ফর্ম কীভাবে পূরণ করবেন এসব তথ্য জানা না থাকায় অসহায়বোধ করেন যাত্রীরা।
তারা বলেন, আমাদের সকল লাগেজ যেন এক সাথে পেতে পারি। একেকটা লাগেজ একেক জায়গা থেকে নিতে হয়। আমরা এ হয়রানি থেকে মুক্তি চাই। এছাড়া যখন ফ্লাইট ডিলে হয়, তখন আমাদের বসার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকে না। এতে আমরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ি। অনেকেই জানে না কোথায় কী করতে হয়। তাই হেল্প ডেস্কটা খুব উপকারী হবে।
ইমিগ্রেশনেও অনেক সময় হয়রানির শিকার হোন বিদেশগামী নতুন যাত্রীরা। কখনো ট্রলি খুঁজে পান না। লাগেজ পেতে বিড়ম্বনায় পড়েন। এছাড়া ফ্লাইট দেরি হলে বাইরে অপেক্ষমাণ স্বজনদের ভোগান্তিতে পোহাতে হয়।
যাত্রীদের এসব দুর্ভোগ নিরসনে এবং এক জায়গায় সব তথ্য সেবা দিতে বিমানবন্দরে বহির্গমন যাত্রী গেটের পাশে হেল্প ডেস্ক চালু করেছে শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইট আওয়ার পর্যন্ত খোলা থাকবে এই ডেস্ক।
শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, এর মাধ্যমে আমরা যাত্রীদের ফ্লাইটের সমস্ত তথ্য দিতে পারবো। যেগুলোতে যাত্রীরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে। এছাড়া আমাদের আরও অনেক পরিকল্পনা আছে।'
যাত্রী সেবার মান বাড়াতে কফি শপসহ শেড নির্মাণ এবং প্রবাসী যাত্রীরা যেন বাড়ি ফিরতে সমস্যায় না পড়েন এজন্য গাড়ি সরবরাহে পিক অ্যান্ড ড্রপ বুথ চালু করা। সেই সঙ্গে বিমানবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে টারমাক সম্প্রসারণ, নতুন বোডিং ব্রিজ নির্মাণসহ বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও জানান তিনি।
বছরে গড়ে ১৬ লাখ যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। চলতি বছরের মে পর্যন্ত ৫ মাসে ৬ লাখ ৬২ হাজার যাত্রী এই বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেছেন। বিদেশগামী যাত্রীদের ৮৫ শতাংশ প্রবাসী।