জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'দেশে ১৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হয়। আমদানি করা হয় ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং দৈনিক সরবরাহ প্রায় ৩০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। আর দেশে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়। যে কারণে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি থাকে।'
তিনি বলেন, 'গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাস উত্তোলনের জন্য বিশ্বের ১৭টি কোম্পানি আগ্রহ জানিয়েছে। আগামী বছরের মাঝামাঝিতে নিয়োগ দেয়া হবে। জরিপের ৭-৮ বছর পর তেল গ্যাস থাকলে তা উত্তোলন করা যাবে।’
তীব্র দাবদাহের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদার আলোকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দেয়া হচ্ছে বলেও জানান এই প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ জানান, অত্যধিক গরম ও দেশের কিছু কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহ থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরও জোর দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবো। পাইপলাইনের গ্যাস শিল্প কারখানা ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হবে। গাড়ি, বাসা-বাড়ি ও আবাসিক খাতে ব্যবহার করা হবে এলপিজি গ্যাস।'
সরকার শিল্প কারখানায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ করছে বলেও জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ।