আগামী দু মাসের মধ্যে সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ডের ৮ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সংযুক্ত করা হবে। কূপে গ্যাসের মজুত বিবেচনা করলে বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম।

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শেষে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২২ মে) রাতে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাস উত্তোলনের জন্য বিশ্বের ১৭টি কোম্পানি আগ্রহ জানিয়েছে। জাতীয় সংসদে আজ (মঙ্গলবার, ৭ মে) সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পুনরায় গ্যাস উত্তোলনের জন্য ওয়ার্কওভার কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

কম ঘনত্বের হাইড্রোকার্বনসহ নতুন মজুতের সন্ধান

গভীর সাগর থেকে জ্বালানি উত্তোলনের জন্যে আরও ৮ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন- এরইমধ্যে ব্রিডিং প্রসেস শুরু হয়েছে।

দেশের ৪৬টি কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনঃখননের কাজ এগিয়ে নেয়ার কথা জানিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বললেন, আগামী ২ বছরের মধ্যেই গ্যাস উৎপাদনের সব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে চারমাসের মধ্যে কৈলাশটিলার ৮ নম্বর কূপ খনন শেষ করে প্রতিদিন গ্রিডে যুক্ত হবে ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

এলএনজি আমদানিসহ জ্বালানি চাহিদা মেটাতে গত দুই বছরে ১১ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে সরকারের। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে গ্যাসের উত্তোলন বাড়ানো যায়নি। এ অবস্থায় নিজস্ব উত্তোলন বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চায় সরকার। নতুন করে খনন করা হবে আরও ১০০টি কূপ।