সরকারি আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে প্রতি ঘনমিটার ১৫ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।
অন্যদিকে ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট, বাণিজ্য পাওয়ার প্ল্যান্ট ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বেড়ে প্রতি ঘনমিটার ৩১ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গ্যাস খাতে ভর্তুকি সীমিত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন অনুসারে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটারে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।
ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটারে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে গ্যাসের মূল্য ৩১ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। তবে শিল্প, গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয় অপরিবর্তিত থাকবে।
বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারিদের ৮টি গ্রাহকশ্রেণি রয়েছে। তার মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭ শতাংশ, শিল্পে ২৩ শতাংশ, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮ শতাংশ, গৃহস্থালিতে ১০ শতাংশ, সার উৎপাদনে ৭ শতাংশ, সিএনজিতে ৪ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১ শতাংশ গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সাথে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৬ হাজার ৫৭০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরও বেশি থাকে।