জেলার তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের ২৩টি কূপ থেকে প্রতিদিন ৩৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। এ জেলায় মেঘনা গ্যাসক্ষেত্রও রয়েছে। ফলে সঙ্গত কারণেই ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গ্যাসের শহর বলা হয়।
তবে গত কয়েক মাস ধরে চাপ কম থাকায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পাচ্ছেন না এখানকার গ্রাহকরা। শীত শুরুর পর সেই চাপ আরও কমেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গ্যাসের চাপ অস্বাভাবিক মাত্রায় কম থাকার কারণে রান্নার কাজে দীর্ঘ সময় লাগছে আবাসিক গ্রাহকদের।
গ্রাহকরা বলেন, ‘সকাল থেকে গ্যাস থাকে না। আর রান্না না হলে বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্ট করতে হয়।’

বাসাবাড়িতে গ্যাসের সংকট। ছবি: এখন টিভি
সংকটের কারণে জেলার গ্যাসনির্ভর কারখানাগুলোতে উৎপাদন কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এতে লোকসানে পড়ছেন কারখানা মালিকরা। দ্রুত সমাধান না হলে উৎপাদন আরও কমার শঙ্কা মালিকদের।
কারখানা মালিকরা বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এজন্য বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া আগের তুলনায় উৎপাদনও কমেছে।
বর্তমানে ৪০ পিএসআই চাপে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনে গ্যাস সরবরাহ করছে তিতাস। যদিও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে ৬০ পিএসআই চাপ প্রয়োজন। তবে পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে বলতে পারছে না বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, ‘নতুন একটি পাইপলাইন হয়েছে, এটি নিয়েও কিছু অভিযোগ আছে। পাইপলাইনটি পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি জানুয়ারির মধ্যেই করা হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার ২২ হাজারের বেশি গ্রাহককে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এসব গ্রাহকদের প্রতিদিন চাহিদা ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।