বাজার , কাঁচাবাজার
অর্থনীতি
0

যশোরে সবজির বাজার মূল্য ২ হাজার কোটি টাকা

চলমান পরিস্থিতিতে রাজধানীতে কম আসছে পণ্যবাহী ট্রাক। অনেক সময় রাজধানীতে ঢুকতে না পারায় বাড়ছে পচনশীল পণ্যের হার। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা। সবজির জন্য বিখ্যাত যশোরে ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে বছরে প্রায় ৫ লাখ টন সবজি উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।

যশোরে উৎপাদিত সবজির বড় পাইকারি মোকাম বারিনগর সাতমাঈল বাজার। বারিনগর, নোঙ্গরপুরসহ অধিকাংশ এলাকার কৃষক উৎপাদিত সবজি এই হাটে বিক্রি করেন। এখান থেকে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০টি ট্রাকবোঝাই সবজি দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। তবে বর্তমানে এই হাটে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪ থেকে ৫ ট্রাক সবজি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও ট্রাক পাচ্ছেন না তারা। অন্যদিকে ব্যাংকিং সেবা চালু নেই। ফলে টাকা লেনদেন করতেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। সে কারণে নতুন সবজি আপাতত কিনছেন না ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘কেয়ারিং খরচ বেশি পড়ছে। আগে ভাড়া ছিল ১ কেজিতে ৩ টাকা এখন ৬ টাকা করে লাগছে।’

এই চিত্র পুরো দেশজুড়েই। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ লাখ টন খাদ্যশস্য রাজধানীতে ঢুকলেও অবরোধকালে সেই হার ছিল মাত্র ১০ শতাংশ। আর কারফিউ শুরুর পর সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে বাড়তি দাম দিয়ে সবজি ও কাঁচামাল কিনতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

ক্রেতাদের একজন বলেন, বেশি দাম দিয়ে সবজি কিনে খেতে হচ্ছে। 

এছাড়াও দেশজুড়ে কারফিউ জারির পর স্থলবন্দর এবং সমুদ্রবন্দরের পণ্য খালাস না হওয়ায় ক্ষতি বাড়ছে পচনশীল পণ্যের। কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে ক্ষতির পরিমাণ ঠেকাতে প্রতিটি জেলায় কোল্ড স্টোরেজ এবং খাদ্য গুদামের বিকল্প নেই।

কৃষি অর্থনীতিবিদ কাশফিয়া আহমেদ বলেন, ‘প্রতিটি জেলায় কোল্ড স্টোরেজ এবং খাদ্য গুদাম থাকলে তাহলে আজকের দিনের এই পরিস্থিতি সামাল দেয়া যেত।’ 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মজুত পণ্য শেষ হওয়ার আগেই প্রান্তিক চাষিদের কথা বিবেচনা করে পচনশীল পণ্য দ্রুত পরিবহণ ও খালাসের ব্যবস্থা করতে হবে।

দেশের এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মজুত করা পণ্যের দাম না বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা।

ইএ