আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

নাব্যতা সংকটে নওয়াপাড়া নৌবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কার্যক্রম ব্যাহত

নাব্যতা সংকটে যশোরের নওয়াপাড়া নৌবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিঘ্ন ঘটছে নৌযান চলাচলেও। সড়ক, রেল ও নৌপথ ব্যবহার করে এই বন্দরে পণ্য আনা নেয়ার সুযোগ থাকলেও বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। তবে বন্দরের উন্নয়নে ৪৫৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে বলছে কর্তৃপক্ষ।

কর্মব্যস্ত যশোরের নওয়াপাড়া নৌবন্দর। নৌপথের সাথে রেল ও সড়ক যোগাযোগের সুবিধার কারণে পণ্য আনা-নেওয়ায় ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কেন্দ্র ছিল বন্দরটি।

সমুদ্র পথে আসা পণ্য লাইটারেজ জাহাজে ভৈরব নদ হয়ে এই বন্দরে খালাস হয়। এছাড়া এখান থেকে মাত্র দেড়শ' থেকে ২শ' মিটার দূরত্বে যশোর-খুলনা মহাসড়ক ও রেলপথ। এত সুবিধার পরও বন্দরের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় ব্যবহারকারীরা।

নদের বিভিন্ন পয়েন্টে পলি জমে জেগে উঠেছে চর। নাব্য সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য আমদানি কার্যক্রম। বিঘ্ন ঘটছে নৌযান চলাচলে। এতে বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নৌবন্দর ব্যবহারকারীরা। বলছেন, এখনি নদের খননসহ ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসা।

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান শাহা জালাল হোসেন বলেন, ‘বিশেষ ভারতের কলকাতা ও নেপালে এখান থেকে মালামাল পরিবহন করা সম্ভব। এখানে প্রথম সমস্যা হচ্ছে নাব্যতা। আগে নাব্যতা ছিল না তখন ৪০০ থেকে ৫০০ টনের কার্গো আসতো।’

নওয়াপাড়া নৌবন্দরে প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার শ্রমিক কাজ করে। তবে নাব্য সংকটের কারণে বন্দরের জাহাজ তীরে ভিড়তে পারে না। ফলে কিছুটা দূর থেকে মালামাল মাথায় করে তীরে উঠানোর সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন শ্রমিকরা।

শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘নদীতে চর পড়ে গিয়েছে যার ফলে জাহাজ ভিড়ছে না পাড়ে।’

ব্যবহারকারীরা বলছেন, নাওয়াপাড়া বন্দর দিয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সাড়ে ১১ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়। তবে পরের অর্থবছরে তা নেমে দাঁড়ায় মাত্র ৬ লাখ টনে। আর গত অর্থবছরে আমদানি হয় ৭ লাখ টন পণ্য। বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয় ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। দ্রুত সময়ে নব্য সংকট দূর করা না গেলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলছেন ব্যবসায়ীরা।

যশোর চেম্বার অব কমার্সের সদস্য এস এম হুমায়ুন কবীর কবু বলেন, ‘এ সমস্যা সমাধানে ড্রেজিং করতে হবে তাহলে বেশি টনের জাহাজ এখানে আসতে পারবে।’

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে বন্দরের উন্নয়নে ৪৫৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বন্দরে ব্যবসা বাণিজ্যে গতি আসবে বলে জানান কর্মকর্তারা।

যশোর নওয়াপাড়া নৌ-বন্দর সহকারী নৌ ও পরিবহন কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘অস্বাভাবিকভাবে পলি পড়েছে এইটা নিরসনের ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

এর আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালে ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর ড্রেজিং কাজ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

ইএ