এখন জনপদে
0

যশোর নওয়াপড়া নৌবন্দরের ৬ মাসে অর্ধশতাধিক চুরি, ধরাছোঁয়ার বাইরে চোরচক্র

যশোরের শিল্পশহর নওয়াপড়া নৌবন্দরে ভিড়ে থাকা কার্গো-জাহাজে গেল ৬ মাসে অর্ধশতাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জাহাজের মাস্টার, সুগানি ও কর্মচারীরা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে চুরির সঙ্গে জড়িত স্থানীয় মাদকসেবী ও নৌবন্দরকে ঘিরে গড়ে উঠা চোরচক্র থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বছরে ৫ হাজারের বেশি বার্জ কার্গো-লাইটার জাহাজ ভেড়ে নাওয়াপাড়া নৌ-বন্দরে। যাতে থাকে সার, গম, কয়লা, পাথরসহ প্রায় ২৫ লাখ টন পণ্য।

বন্দরের চেঙ্গুটিয়া থেকে ফুলতলা পর্যন্ত এসব মালামাল আনলোডের অপেক্ষায় বিভিন্ন ঘাট পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকে এসব কার্গো-জাহাজ। অভিযোগ রয়েছে, সন্ধ্যা নামলেই এসব জাহাজে একপ্রকার জোর করেই আড্ডা বসান স্থানীয় মাদকসেবীরা । এমনকি বিভিন্ন সময় চুরি করে নিয়ে যান মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা, জামাকাপড়সহ অন্যান্য জিনিসপত্র। কখনও বা তাদের জিম্মি করে ঘটে লুটের ঘটনাও।

সচেতন মহল বলছে, মাদকের দৌরাত্ম্যই চুরির অন্যতম কারণ। কঠোর হাতে মাদক কারকারি ও সেবনকারীদের দমন করা না গেলে চুরি বন্ধ হওয়া সম্ভব নয় বলছেন তারা।

নৌ-বন্দরের এ শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, চুরি রোধে তৎপর রয়েছে নৌ ও স্থানীয় থানা পুলিশ । সচেতনতা বাড়াতে হয়েছে সভাও। তারপরও কমছে না চুরির ঘটনা।

যশোর নওয়াপাড়া নৌবন্দর উপ-পরিচালক মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অনেকবার সভা করেছি। বর্তমানে নৌ পুলিশ এটি নিয়ে খুব সোচ্চার। নৌ পুলিশ ও থানা পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে। আমরা সংশ্লিষ্ট ঘাট মালিক ও জাহাজের স্টাফকেও বলেছি, যাতে বাহিরের লোক কোনোভাবে জাহাজে উঠতে না পারে।’

বন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত নৌ-পুলিশ বলছে, নদীতে টহল দেয়ার মতো কোন জলযান তাদের নেই। তাই চুরির অভিযোগ পেলে অনেক সময় ভাড়া করা নৌযান নিয়ে টহল ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বেশ বেগ পেতে হয় তাদের।

নওয়াপাড়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, ‘আমরা নদীতে ভাড়া করে নৌকা দিয়ে টহল দিচ্ছি। চুরি কোনো সংবাদ পেলে সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছি আর আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

বিভিন্ন দেশ থেকে আসা আমদানি পণ্য বড় জাহাজ থেকে আনলোডের জন্য নওয়াপাড়া বন্দরে আসে। তারপর এখান থেকে সরবরাহ করা হয় সারাদেশে। সম্প্রতি চাঁদপুরে জাহাজে ৭ নাবিক হত্যার ঘটনায় আতঙ্ক আরো বেড়েছে। তাই নৌ-শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য এখনি উদ্যোগ নেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

এএম