কৃষি-অর্থনীতি
ঝিনাইদহে ড্রাগন ফলের বাজার ৮শ' কোটি টাকা
চলতি মৌসুমে ঝিনাইদহে ৩২ হাজার টন ড্রাগন ফল উৎপাদন হয়েছে। যার বাজারমূল্য সাড়ে ৮শ' কোটি টাকার উপরে। চাষ ছাড়িয়েছে ১ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে। কৃষি অর্থনীতির এমন নতুন সম্ভাবনায় খুশি চাষিরা। নিরাপদ ড্রাগন ফল উৎপাদনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় সচেতনতা বেড়েছে কৃষকদের মাঝে।
পটুয়াখালীতে আবাদহীন ১৪ হাজার হেক্টর জমি, পিছিয়ে কৃষি অর্থনীতি
দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালী ধান উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও জলবায়ুর কারণে দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে এখানকার অর্থনীতি। জলাবদ্ধতায় অনাবাদি হয়ে পড়েছে জেলার ১৪ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। এতে ব্যাহত হবে আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা, অন্যদিকে পিছিয়ে পড়বে এখানকার কৃষি অর্থনীতি। এতে দুশ্চিন্তায় জেলার হাজারো কৃষক।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ব্যাংক ঋণ মওকুফের পরামর্শ
বন্যায় কৃষিজমির বীজতলা, শেষ ধানের শীষ, গবাদিপশু বা পোল্ট্রি খামার এক নিমেষেই শূন্য হয়েছে অনেকের। কৃষকের গোলা আবার পূর্ণ করতে নিঃশর্ত এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। এছাড়া ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় ব্যাংকের ঋণ মওকুফেরও পরামর্শ দেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রেও চার থেকে পাঁচ শতাংশ বেশি সুদহার নির্ধারণ, উল্টো বিপর্যস্ত করতে পারে এসব এলাকার অর্থনীতি।
ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়ক নির্মাণে সমৃদ্ধ হবে চরাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি
শেরপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ১ হাজার ৮৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে বিকল্প মহাসড়ক। নতুন এই মহাসড়ক নির্মাণ শেষ হলে চরাঞ্চলসহ লাখো মানুষের ভাগ্য খুলবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ২০২২ সালের মে মাসে শুরু হওয়া এই সড়কের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের জুনে। এতে করে চরাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
যশোরে সবজির বাজার মূল্য ২ হাজার কোটি টাকা
চলমান পরিস্থিতিতে রাজধানীতে কম আসছে পণ্যবাহী ট্রাক। অনেক সময় রাজধানীতে ঢুকতে না পারায় বাড়ছে পচনশীল পণ্যের হার। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা। সবজির জন্য বিখ্যাত যশোরে ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে বছরে প্রায় ৫ লাখ টন সবজি উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।
নির্বিচারে রাসেল'স ভাইপার নিধনে ক্ষতির মুখে কৃষি অর্থনীতি
রাসেল'স ভাইপারের খোঁজে দল বেধে হানা দেয়া হচ্ছে সাপের বাসস্থানগুলোতে। ফলে প্রভাব পড়ছে পরিবেশে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিটি প্রাণিই প্রকৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নির্বিচারে সাপ নিধনে বাস্তুতন্ত্রে ও কৃষি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সাপ ধরা, বহন করা ও মারা হলে জেল জরিমানার যে বিধান রয়েছে তা প্রয়োগের তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা।
রপ্তানি সম্ভাবনা থেকেও প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না বগুড়ার কৃষি যন্ত্রাংশ
রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি করেও চীনের পণ্যের দাপটে বাজারে টিকতে পারছে না বগুড়ার পাম্প। জ্বালানি-কাঁচামালের দামের উর্ধ্বগতিতে উৎপাদন খরচ বাড়ায় গতবছর বেশ কমেছে রপ্তানি। ফাউন্ড্রি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা কৃষি যন্ত্রাংশের হাজার কোটি টাকার বাজার ঠিক রাখার তাগিদ দেন ব্যবসায়ীরা।
কৃষি বাজেটের ভর্তুকি দাঁড়াবে ২৫ হাজার কোটিতে!
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে প্রাধান্য পাবে ব্যয় সংকোচন নীতি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে হাতে নেয়া হতে পারে নানামুখী উদ্যোগ। তবে, প্রাধান্য পাবে কৃষি খাত। ভর্তুকির ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়াবে ২৫ হাজার কোটি টাকায়। কৃষি রা বলছেন, কৃষি বীমা চালুর পাশাপাশি উৎপাদন বাড়াতে প্রণোদনা বৃদ্ধিসহ ভোক্তাপর্যায়ে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
ফরিদপুরের দুর্গম চরে ফসলের হাতছানি
যে চরে কিছু দিন আগেও ফসল ফলানোর কথা ভাবা যেতো না, সেই চরের ফসলে এখন ভাগ্য পরিবর্তন করছেন চাষীরা। ফরিদপুরে এক যুগের বেশি সময় প্রমত্তা পদ্মার জেগে উঠা চরে হতো না কোনো ফসল। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত সেই অনাবাদি জমিতে ফলতে শুরু করেছে ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল।
তীব্র তাপপ্রবাহের বিরূপ প্রভাব কৃষিতে
দীর্ঘসময় ধরে তাপপ্রবাহ চলায় কৃষিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। প্রখর রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে ফসল। নষ্ট হচ্ছে ফলন। সেচ দিয়েও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। এদিকে পোকার আক্রমণে ব্যবহার করতে হচ্ছে অতিরিক্ত কীটনাশক। যাতে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়।
তরমুজে শত কোটি টাকা আয়ের আশা
ফেনীর সোনাগাজীর বিস্তৃর্ণ চরে আবাদ হচ্ছে তরমুজ। মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। গত কয়েক বছর ব্যাপক লাভ হওয়ায় চলতি মৌসুমে বেড়েছে এ ফলের আবাদ। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে ১০০ কোটি টাকার বেশি আয় সম্ভব বলে আশাবাদী কৃষি বিভাগ।
কীটনাশক ছিটাতে গিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে কোটি কৃষক
পোকামাকড় থেকে ফসল রক্ষায় তৎপর হলেও নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কতটা সচেতন দেশের কৃষকরা? এমন প্রশ্ন অনেককে ভাবিয়ে তুললেও কৃষি অর্থনীতির চাকা যারা সচল রেখেছেন তাদের সুরক্ষায় দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। কোনোরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া কীটনাশক ছিটাতে গিয়ে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন দেশের কোটি কৃষক।