বাংলাদেশ–লাল সবুজের ভূমি বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩৫তম স্থান দখল করে আছে। গত এক দশক ধরে দেশজও উৎপাদনে গড়ে ৬.৩ শতাংশ হারে অর্জন করেছে প্রবৃদ্ধি। সেই সাথে বর্তমান বিশ্বের সপ্তম দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবেও এগিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নের এমন সূচকে অনবদ্য অবদান রাখেছে দেশের প্রবাসী আয়।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতে যে কয়েকটি উৎস নেয়ামক হিসেবে কাজ করছে তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রবাসী আয়। প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ যে কেবল দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ভিতকে শক্তিশালী করছে তাই নয় বরং সামগ্রিক ভাবে দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা, শিশুর পুষ্টি ও শিক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশে অভিবাসনের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬ হাজার । আর বর্তমানে ৫২ বছর বয়সী বাংলাদেশে এখন অভিবাসীর সংখ্যা ১ কোটি ৬৫ লাখ। এর মধ্যে ওমান, আরব আমিরাত , সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের ১৩টি দেশে প্রবাসী আছেন ৮০ লাখ ৯১ হাজার ৪১৯ জন। বাকিরা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। দীর্ঘ এই ৫২ বছরে শুধু অভিবাসীর সংখ্যাই বাড়েনি, সাথে বেড়েছে প্রবাসী আয়ও। গেলো পাঁচ বছরের প্রবাসী আয়ের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার।
আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য বলছে, প্রবাসী আয় গ্রহণকারী অঞ্চলগুলোর মধ্যে প্রথমেই চট্টগ্রাম বিভাগ। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা এবং তৃতীয় বিভাগীয় অঞ্চল সিলেট। পরে ক্রমান্বয়ে খুলনা রাজশাহী ময়মনসিংহ, বরিশাল এবং শেষ রংপুর অঞ্চল।
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছে ৬ হাজার ৭৮৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে শুধু ফেনী জেলায় ৬০৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। এই বিশাল পরিমাণ প্রবাসী আয় স্থানীয়ভাবে বিনিয়োগ হলো কতটুকু?
এক সময়ের সাদামাটা ফেনী শহর আজ নানা রকম উঁচু-নিচু অবকাঠামোয় ঠাসা। সমৃদ্ধ, সাজানো এই শহর তৈরিতে যে মানুষগুলোর এত অবদান তারা হলেন প্রবাসী । আর সেই প্রবাসীদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা উপার্জিত অর্থের যথার্থ ব্যবহার কতটুকুই বা হচ্ছে?
শহরের ট্রাংক রোডের মডেল থানার সামনে সৌদি আল-ফাহাম রেস্টুরেন্ট। তিন ভাই থাকতেন মধ্য প্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে। সেখানের উপার্জিত টাকা দেশে বিনিয়োগ করে গড়ে তুলেন এই ব্যবসা । কিন্তু এই বিনিয়োগই যেন এখন তাদের গলার কাটা। লাভ লোকশানের হিসেব কষার আগে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নানা ধরনের সনদ সংগ্রহ করাই এখন ব্যবসার চেয়ে বেশি ভোগান্তি। পদে পদে হয়রানি আর প্রশাসনিক নানা জটিলতায় তাদের ব্যবসা এখন ছেড়ে দেয়ার উপক্রম।
আল-ফাহাম রেস্টুরেন্টের মালিক বলেন, 'প্রায় আড়াই কোটি টাকা ইনভেস্ট করে এই হোটেল করছি। কিন্তু, সেভাবে লাভ করতে পারিনি এখনও। বর্তমানে বাংলাদেশে ১০ থেকে ১২টি লাইসেন্স লাগে। এই লাইসেন্স আবার প্রতিবছর নবায়ন করতে হয়। সৌদি আরবের তুলনা করলে আমরা অনেক অসুবিধায় আছি।'
এই ব্যবসায়ীদের মতো অনেক প্রবাসীই দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তবে, পূর্ণ পুঁজির সহায়তায় ব্যাংকের কোনো সহযোগিতা না থাকায়- ব্যবসা শুরুর আগেই জোগান করা কষ্টের অর্থ বসেই ফুরিয়ে যায় তাদের। ফলে নতুন নতুন বিনিয়োগ আর গড়ে ওঠে না।
একজন প্রবাসী বলেন, 'আমাদের দেশে একটা নিয়মকানুন আইনের একটা জটিলতায় পড়তে হয়। কিন্তু বাইরে থাকতে আমরা কখনও এরকম কোনো বিরম্বনায় পড়িনি এবং পড়তেও হয়নি।'
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, প্রবাসীদের বিনিয়োগ বাড়াতে প্রয়োজন হয় বিশেষায়িত সেবা এবং সেগুলোর সহজিকরণ। এটা করতে পারলে যেমন বাড়বে বিনিয়োগ, তেমন দূর হবে বেকারত্ব।
ফেনি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন বলেন, 'তাদেরকে প্রোডাক্টিভ খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য আমাদের রেগুলেটরি ইস্যু বা লাইসেন্সগুলো যদি ওয়ানস্টপ সার্ভিস দেয়া যায় বা সহজিকরণ করা হলে প্রবাসীরা শিল্পায়নে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।'
ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় দেশের মোট প্রবাসীদের মধ্যে ২৯.২০ শতাংশ প্রবাসী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। দেশের ২য় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এই বিভাগের একটি জেলা শরীয়তপুর।
ইউরোপ মধ্যপ্রাচ্য সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শরীয়তপুর জেলার অন্তত দুই লাখ প্রবাসী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন । যাদের প্রেরিত অর্থে বিগত দুই দশকে কাঠামোগত পরিবর্তন এসেছে জেলাটিতে। প্রতিবছর এখানে কয়েকশত কোটি টাকার প্রবাসী আয়ের প্রবাহ থাকলেও জন্মভিটায় ভবন নির্মাণ ছাড়া উৎপাদন খাতে বিনিয়োগে উল্লেখ করার মতো কোনো শিল্পই গড়ে উঠেনি এখানে।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ মগর গ্রামের একজন প্রবাসী আব্দুর রহমান মৃধা। তিনি ইউরোপের দেশ ইতালিতে ১৪টি বছর পার করে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে এসে তার উপার্জিত অর্থের বড় একটা অংশ বিনিয়োগে আগ্রহী। তবে, আগ্রহী থাকলেও জেলাটিতে সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বা ব্যবসা বান্ধব সুবিধাজনক পরিস্থিতি না থাকায় ব্যক্তি খাতেই বিনিয়োগ করতে হয়েছে তাকে।
আব্দুর রহমান মৃধা বলেন, 'প্রবাসীরা এখন সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেন ল্যান্ড খাতে। কারণ এখানে একটা ভরসা আছে। এর পর আছে বাড়ি রি করা। জেলা পর্যায়ে একটা বাড়ি করলে সেই বাড়ি থেকে ভাড়া আসলে তার চলে যায়। এছাড়া আর কোনো বিনিয়োগে আমাদের ভরসা নেই।'
আব্দুর রহমানের মতো এখানকার প্রতিজন প্রবাসীই পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে শুধু মাত্র আবাসন খাতেই কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছেন। প্রবাসী বা তাদের স্বজনরা বলছেন নদী ভাঙন, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এতদিনে প্রবাসীরা কোনো উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করেননি। যার ফলে শিল্পখাতে তেমন কোনো পরিবর্তন এখনো আসেনি জেলাটিতে।
যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন শিল্পখাতে জেলাটিতে অপার সম্ভাবনা থাকার পরেও প্রবাসীদের কেবল বিনিয়োগে আগ্রহী করে না তুলতে পারার কারনে– ভোগবিলাশ আর সঞ্চয়ী আমানতেই সীমাবদ্ধ থাকছে জেলার প্রবাসী আয় । দরকার সময় উপযোগী চিন্তাভাবনা আর ব্যবসায়িক পরিবেশের তাহলেই পরিবর্তন আসবে প্রবাসী বিনিয়োগে।
শরীয়তপুর নড়িয়ার ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের এফএ ভিপি ও শাখা প্রধান মোহাম্মদ হাবিব সুলতান বলেন, 'প্রবাসী ভাই ও বোনদের মধ্যে আমরা দেখতে পাই একটা অ্যাসেট ক্রিয়েশনের দিকে তাদের ঝোকটা বেশি। তাদের অনেক টাকা হলেই তারা উঠিয়ে নিয়ে অ্যাসেট ক্রয় করেন। বা দেখা যায় একটা সুদৃশ্য বাড়ি করেন।'
শরীয়তপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্টিজের সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন তালুকদার বলেন, 'আমাদের প্রবাসী ভাইদের কাছে মূলধন আছে। তারা যদি এই টাকাটা সৎভাবে এবং পরিকল্পনা করে ছোট আকারেই যদি প্রথম পর্যায়ে একটা শিল্প কারখানা গড়ে তোলে তাহলে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।'
দেশে সিলেটের পরিচিতি প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে । এই জনপদের প্রায় কুড়ি লাখেরও বেশি প্রবাসী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন শত বছর ধরে। মূলত তাদের প্রেরিত অর্থই এই অঞ্চলের অন্যতম চালিকা শক্তি। কিন্তু তাদের পাঠানো অর্থের ব্যয় বেশি হয় অনুৎপাদনশীল খাতে। যার কারণে একদিকে যেমন হচ্ছে না প্রেরিত অর্থের কল্যানমুখী ব্যবহার তেমনি বাড়েনি নতুন কর্মসংস্থানের কোনো সুযোগও।
সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কারুকার্যময় বিলাসী বাড়ি। এমন জৌলুসপূর্ণ বাড়ি বিভাগ জুড়ে আছে অন্তত হাজার সাতেকের ওপরে। যার প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় কোটি কোটি টাকা। অথচ এমন বাহারি বাড়িতে থাকেন শুধু পাহারাদার বা গৃহপরিচারিকা। বছরের পুরোটা সময়ই খালি পড়ে থাকে দৃষ্টিনন্দন এসব আলিশান ঘরবাড়ি।
অথচ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ার উপযোগী অনেক সুযোগ-সুবিধা থাকার পরেও এখনও প্রত্যাশানুযায়ী কিছুই হয়নি। গ্যাস-বিদ্যুৎ সহজলভ্য হলেও কেন শিল্পখাতে অর্থ বিনিয়োগে প্রবাসীদের নজর নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে বিশেষজ্ঞদের মতামতে উঠে আসে ব্যবসায়িক নানান প্রতিবন্ধকতার কথা।
শাবিপ্রবি'র ডিপার্টমেন্ট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের প্রফেসর ড. ফজলে এলাহী মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, 'বাড়ি নির্মাণ করছি, ফ্ল্যাট নির্মাণ করছি, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করছি কিন্তু, প্রোডাক্টিভ সেক্টরে যেখানে বিনিয়োগ করলে দেশের জিডিপি বাড়বে সেদিকে আমরা কিছু করছি না। এর মূল কারণটা হলো অনীহা।'
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিলেটে অঞ্চলে প্রতিবছর গড়ে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকার উপরে প্রবাসী আয় লেনদেন হয়। সবশেষ তথ্যনুযায়ী ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্তও সিলেটের ব্যাংকগুলোতে সঞ্চয়ী আমানতের পরিমাণ ৬৯৬ বিলিয়ন টাকা যার অধিকাংশই প্রবাসীদের কল্যানে । কিন্তু, এখান থেকে মাত্র ২০০ বিলিয়ন টাকা ব্যয় হয়েছে বিভিন্ন খাতে বাকি টাকা অলস মানি হিসেবে ব্যাংকেই পড়ে থাকে। এই বিশাল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না শুধু প্রবাসীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট না করতে পারার কারণে।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, 'প্রবাসীদের একটা দাবি ছিল যে, সিলেটে একটা স্পেশাল ইকোনমিক জোন হলে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে ব্যবসা করতে পারবে সিলেটে। প্রবাসীরা বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কারখানা করেছে, সেগুলো থেকে বিদেশে রপ্তানিও হচ্ছে।'
তাই প্রবাসীদের আয় বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে দেশের ব্যবসা পরিচালনাকারী দপ্তরগুলোর সমন্বয়ে মেধা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতার সংযোগ ঘটিয়ে নতুন করে ভাবনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
শাবিপ্রবি'র ডিপার্টমেন্ট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের প্রফেসর ড. ফজলে এলাহী মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, 'আমাদের পলিসি তৈরি করতে হবে। আমি মনে করি ফোকাস করতে হবে বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের ওপর। শিল্পকারখানা যদি সঠিকভাবে গড়ে ওঠে, বিনিয়োগ বাড়তে থাকলে আমরা এ অবস্থা থেকে বের হতে পারবো। আমরা অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করবো।'
প্রবাসী বিনিয়োগকে শিল্পায়নে রূপান্তরিত করতে পারলে ফেনী জেলার সর্বস্তরের মানুষের জীবন ও কর্মের উপর ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। মানুষের জীবন হয়ে উঠবে ভীষণ ব্যস্ত ও কর্মচঞ্চল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও উষ্ণ আতিথেয়তার জেলা ফেনী হবে বাংলাদেশের টেকসই অর্থনীতি বিনির্মাণে সহযোগী।
পদ্মা-মেঘনার মিলিত স্রোতধারায় সিক্ত শরীয়তপুর জেলা। ১ হাজার ১৮১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই জেলাতে যতি প্রবাসী আয়ের অধিকাংশই ডদি পরিকল্পিতভাবে উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার করা যায তাহলে জেলাটি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশীদারে পরিণত হবে। জীবন মানের আমুল পরিবর্তন ঘটবে স্থানীয়ভাবে।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও বেগবান করতে হলে সামগ্রিকভাবে প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থের সঠিক বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। পরিকল্পিত উপায়ে সঠিক প্রয়োগে বদলে দিতে পারে ব্যক্তির সামাজিক, পারিবারিক এমন কি রাষ্ট্রের আর্থিক পুরো প্রেক্ষাপট । দরকার কেবল উন্নয়নমুখী সদিচ্ছা আর সরকারের কার্যকর উদ্যোগ।