শিল্পমন্ত্রী বলেন, 'এই মুহূর্তে গ্যাস সংকট নেই ও কারখানাটি শতভাগ উৎপাদনে রয়েছে। গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ পেলে একটানা শতভাগ উৎপাদন সম্ভব।'
এছাড়া ভোলা ও আশুগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও দুটি সার কারখানা চালু করার পরিকল্পনা করছেন বলেও জানান তিনি। বলেন, 'সৌদি আরবেও একটি সার কারখানা চালু করার পরিকল্পনা হচ্ছে। দেশে সারের কোনো ঘাটতি হবে না, কৃষকরা পর্যাপ্ত সার পাবেন। ঘোড়শাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা টানা শতভাগ উৎপাদনে থাকতে পারলে সার আমদানি নির্ভরতা কমবে।'
এর আগে, গত বছরের ১২ নভেম্বর সার কারখানাটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর গ্যাস সংকটসহ নানাবিধ কারিগরি জটিলতায় শতভাগ উৎপাদনে যেতে পারেনি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সার কারখানাটি। কর্তৃপক্ষ বলছে, সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত উৎপাদন করা গেছে এতদিন। শতভাগ উৎপাদনে বর্তমানে দৈনিক ২৮শ' মেট্রিকটন ও বছরে ১০ লাখ মেট্রিকটন সার পাওয়া যাবে।
এসময় শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, নরসিংদী ২ পলাশ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলিপ, ফার্টিলাইজার প্রকল্পের পরিচালক সাইদুর রহমান, ঘোড়াশাল পৌর মেয়র মুজাহিদুল ইসলাম তুষারসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।