আড়তে তুমুল ব্যস্ততায় ঘাম ঝরছে শ্রমিকদের। সংগ্রহের পর যত দ্রুত সম্ভব লবণ দিয়ে ঢাকতে হবে চামড়া। এ কার্যক্রম চলবে আরও দু'তিনদিন। এবার চট্টগ্রামে চামড়ার আড়ৎ আতুরার ডিপোতে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে তিন লাখ পিস।
চট্টগ্রামে এবার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কাঁচা চামড়া কিনেছেন মাত্র ৩০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকায়। সাথে লবণ লাগানো ও শ্রমিক মিলে খরচ দাঁড়ায় প্রায় ৫০০ টাকা। অথচ ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত চামড়ার দর প্রতি পিস ১০০০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
কোরবানির পশুর দানের চামড়া সংগ্রহ করে এমন একটি সংগঠন গাউসিয়া কমিটি। তাদের আড়ত এখন জমজমাট। কাজ করছে হাজারখানেক শ্রমিক। পুরো চট্টগ্রামজুড়ে চামড়া সংগ্রহ করে আড়তে ঢুকছে শত শত যানবাহন। এবার এক লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তারা।
স্বাধীনতা পরবর্তী চট্টগ্রামে ২২টি ট্যানারি ছিল, সেখানে এখন আছে মাত্র একটি। সংগৃহীত সাড়ে তিন লাখ চামড়ার মাত্র ১ লাখ কিনে প্রতিষ্ঠানটি। বাকি ২ লাখ ঢাকায় পাঠিয়ে পরের বছর পর্যন্ত টাকা পাওয়ার আশায় থাকেন এখানকার ব্যবসীয়ার।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দীন বলেন, 'চামড়া বিক্রি করা কমিয়ে দিয়েছে। বেশিরভাগই দান করে দেয়। এর একটা প্রভাব ব্যবসার উপরে পড়েছে। এক সময় আতুড়ার ডিপোতে ৩৫০ জন আড়তদার থাকলেও এখন আছে ১২০ জন।'
চট্টগ্রামে গরুর চামড়ার কোনো রকম দর পাওয়া গেলেও, বিক্রির খাতায় নাম ওঠে না ছাগল বা ভেড়ার চামড়ার। সড়কে ফেলে দেন কেউ কেউ, অথবা অনুরোধ করলে নিয়ে যান মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।