মৌসুম শুরুর রেকর্ড দরপতন: ন্যায্যমূল্যের দাবিতে ক্ষুব্ধ লবণ চাষিরা

কক্সবাজারে লবণ চাষ করা হচ্ছে
কক্সবাজারে লবণ চাষ করা হচ্ছে | ছবি: এখন টিভি
0

মৌসুমের শুরুতেই মাঠ পর্যায়ে লবণের দামে রেকর্ড দরপতন। নতুন লবণ উঠলেও বাড়েনি লবণের দাম। চাষিরা বলছে এক দশকের মধ্যে লবণের দাম এবারই সবচেয়ে বেশি নিম্নমুখী। ন্যায্যমূল্যের দাবিতে লবণ চাষিদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে উঠেছে নতুন লবণ। স্তুপ করে রাখা হয়েছে বিক্রির অপেক্ষায়। কিন্তু লবণ উৎপাদন শুরু হতেই বাজারে ব্যাপক দরপতন।

জেলার প্রায় ৬৯ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ করেছেন প্রায় ৪১ হাজার চাষি। কিন্তু ন্যায্যমূল্য পাওয়ার অনিশ্চয়তায় চলতি মৌসুমে মাঠেই নামেননি প্রায় ৩০ হাজার লবণ চাষি। অভিযোগ, এক মাসে মণপ্রতি অপরিশোধিত লবণের দাম ১০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিকেজি লবণ বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৩ টাকা দরে।

লবণ চাষিরা জানান, তারা লবণের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। তাদের লবণের উৎপাদন খরচ উঠে আসে না।ফলে লবণের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার দাবি তাদের।

অস্বাভাবিক হারে অপরিশোধিত লবণের দাম কমে যাওয়ার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন কুতুবদিয়ার লবণ চাষিরা। লেমশীখালী লবণ মাঠে কাফনের কাপড় পরে উৎপাদন বন্ধ রেখে মানববন্ধন করেন তারা। চাষিদের অভিযোগ, মিল মালিকদের সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করে লবণের মূল্য কমিয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন:

লবণ চাষিরা বলেন, তাদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। সিন্ডিকেটের সদস্যদের তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি করেন তারা।

কুতুবদিয়া লেমশীখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, ‘আমাদের এলাকায় অনেক লবণ মজুদ আছে কিন্তু লবণের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না চাষিরা। চাষরা কাজ করছেন না। আমি বর্তমান সরকারের কাছে আকুল আবেদন করি আমরা যেন ন্যায্যমূল্য পাই’।

সংকট কাটিয়ে লবণের দর বাড়লে শিগগিরই চাষিরা লবণ উৎপাদনে মাঠে ফিরবে বলে আশা করছেন বিসিকের এ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

কক্সবাজার বিসিক লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয় উপ-মহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা প্রস্তাবনা দিয়েছি চাষিদের ৬ মাস যে লবণ চাষ বন্ধ থাকে সেসময় তাদের মৎস্যজীবীদের মতো করে কোনো সহায়তার আওতায় নিয়ে আসা যায় কিনা’।

লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সংকটে পড়বে এ শিল্প, এমনটাই মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

এফএস