চামড়া-সংগ্রহ
এক মাস লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করবে ট্যানারিগুলো
কোরবানি ঈদের পর থেকে প্রায় এক মাস ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করবে ট্যানারিগুলো। এরইমধ্যে এসব চামড়া সংগ্রহের জন্যে আড়ৎগুলোর সাথে কথা শুরু করেছে ট্যানারি কর্তৃপক্ষ। এদিকে পুরান ঢাকার পোস্তার চামড়ার গুণগত মান দেশের অন্যান্য যেকোন জায়গার লবণযুক্ত চামড়ার চেয়ে ভালো বলে দাম নিয়ে খুব একটা সমস্যা হবে না বলে জানায় বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
১ কোটি পিস চামড়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না: বিটিএ
ছাগলের চামড়া নষ্ট হওয়ায় ১ কোটি পিস চামড়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)। ৮০ থেকে ৯০ লাখ সংগ্রহ হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা তাদের। দেশের সব চামড়া সংগ্রহ করতে ব্যাংকের সহযোগিতা চান তারা। এদিকে আগামী বছরে লবণ ছাড়া কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করবে বিটিএ।
দানের খাতায় চট্টগ্রামের চামড়া ব্যবসা!
চট্টগ্রামে চামড়ার ব্যবসা চলে গেছে দানের খাতায়। লাখ টাকায় কেনা পশুর চামড়া মাত্র ৩০০ টাকা, তাই বিক্রি না করে মাদ্রাসা, মসজিদ বা এতিম সংগঠনকে বিনামূল্যে দিয়ে দিচ্ছেন কোরবানিদাতারা। অবস্থা এমন যে, বিক্রির চাইতে দানের চামড়ার পরিমাণ বেশি হয়ে যাচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়া মোকাম নাটোরের চকবৈদ্যনাথে চলছে প্রস্তুতি
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার মোকাম নাটোরের চকবৈদ্যনাথে কোরবানির পশুর চামড়া কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন দুই শতাধিক ব্যবসায়ী। ঈদের আগে ট্যানারী মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া টাকা পেলে প্রস্তুতি আরও ভাল হবে বলে জানান তারা। তবে লবণের বাড়তি দাম খরচ বাড়াবে চামড়া সংরক্ষণে। এদিকে, এবারই প্রথম চামড়া সংগ্রহের পর সংরক্ষণের জন্য মাদ্রাসাগুলোয় বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ করেছে জেলা প্রশাসন।
দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত হয়েও নানা সংকটে চামড়া শিল্প
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত চামড়া শিল্প। কোরবানি ঈদের সময় কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও ক্রয়ে সরকার উৎসাহ দিলেও, পরবর্তীতে ট্যানারিগুলো কী দরে কিনছে তা নজরদারি করে না কর্তৃপক্ষ। এতে সরকারি দামে চামড়া কিনে বিপাকে পড়তে হয় আড়তদারদের। এছাড়াও কোরবানি ঈদের আগেই দাম বেড়ে যায় লবণ ও কেমিক্যালের। এতে চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণেও ব্যর্থ হচ্ছে ট্যানারি ব্যবসায়ীরা।