অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র তৈরি বাউফলের স্থানীয় শিল্পে নতুন সংযোজন। নগরের হাট এলাকায় এখানেই প্রতিদিন বানানো হচ্ছে লাখ লাখ টাকার গৃহস্থালী পণ্য। উদ্যোক্তা মশিউর রহমান উৎপাদন করেন হাড়ি, পাতিল, কড়াইসহ ৩০ থেকে ৩৫ প্রকারের পণ্য।
শুধু নিজের জেলাতেই নয় আশপাশের জেলাগুলোতে পাঠানো হয় এখানকার সামগ্রী। কম সুদে ঋণ পেলে বড় পরিসরে ব্যবসা করার ইচ্ছার কথা জানান মশিউর। বলেন, 'মাসে আমার প্রায় ৫০-৬০ লাখ টাকার মাল বিক্রি হয়। প্রথম দিকের তুলনায় এখন আমার জিনিসের চাহিদা অনেক বেশি। প্রায় ৫-৭ টা জেলায় ডেলিভারি করি।'
শহরের আরেক ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বিসিকের প্লট ভাড়া নিয়ে ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যবসা করছেন তিনি। তাদের তৈরি সামগ্রীর বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও ছোট পুঁজির কারণে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারছেন না তিনি। বলেন, 'প্রতি মাসে ৫০০ কেজি বিক্রি করতাম। তখন আমরা ভালোই চলতাম। কিন্তু পুঁজির কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছি। উৎপাদন আগের মতো দিতে পারছি না।'
এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদের কম সুদে ব্যাংক ঋণ দেয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন বিসিক'র সহকারী মহা ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর সিকদার। বলেন, 'আমরা উনাদের দ্রুতই বিসিক নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসবো। ব্যবসার পরিসর বাড়ানোর জন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিবো।'
জেলায় এ্যালুমিনিয়ামের হাড়ি-পাতিল তৈরির ৩টি কারখানা রয়েছে। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে শতাধিক মানুষের।