চাল-আমদানি

বাজারে চালের দাম সহনীয় হবে বলে আশা খাদ্য উপদেষ্টার

সরকারি পর্যায়ে এ বছর চাল আমদানি হবে মোট আট থেকে নয় লাখ টন। ফলে বাজারে চালের দাম সহনীয় হবে বলে আশা খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের। চট্টগ্রাম বন্দরে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা সরকারি চাল খালাস কার্যক্রম পরিদর্শনে করে এ কথা জানান তিনি। গেল বছর কোনো চাল আমদানি না হলেও এ বছর বন্যায় আমনের ফলন কম হওয়ায় বিপাকে পড়ে সরকার। দফায় দফায় বাড়তে থাকে চালের দাম।

ফেব্রুয়ারি-মার্চে আড়াই লাখ টন চাল আমদানি করছে অন্তর্বর্তী সরকার

নানা পদক্ষেপের পরও লাগামহীনভাবে বাড়ছে দাম

চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন দেশ থেকে চাল বোঝাই জাহাজ আসতে শুরু করেছে। দুটি জাহাজে ভারত থেকে ৫২ হাজার টনের পর এবার মিয়ানমার থেকে আসছে আরো এক লাখ টন চাল। পাকিস্তান থেকেও প্রায় ৫০ হাজার টন চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। সব মিলিয়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যেই আড়াই লাখ টন চাল আমদানি করছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে সরকারি পর্যায়ে বিপুল আমদানি, শুল্ক প্রত্যাহার, ব্যাংক মার্জিন কমানোসহ নানা পদক্ষেপের পরও লাগামহীনভাবে বাড়ছে চালের দাম। এজন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের চাল মজুত ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকাকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা।

দেশে চালের কোনো ঘাটতি নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা

রমজান ঘিরে সামগ্রিক প্রস্তুতি রয়েছে সরকারের। দেশে চালের কোনো ঘাটতি নেই। চাল আমদানিতে ৬৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। আর মিয়ানমার, ভারত ও পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

শুল্ক প্রত্যাহারের পরও বেড়েছে চালের দাম, অভিযোগ করপোরেট কোম্পানির দিকে

দেশে চাহিদার তুলনায় চাল উৎপাদন বেশি হচ্ছে। এরপরও ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে দুই দফায় চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবুও গেল ডিসেম্বরে সরু চাল কেজিতে আট থেকে দশ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা ছাড়িয়েছে, বেড়েছে মোটা চালের দামও। এজন্য করপোরেট কোম্পানিকে দুষছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

‘আমন ধান সংগ্রহের পাশাপাশি চাল আমদানিতে এলসি খোলা হয়েছে’

অভ্যন্তরীণভাবে আমন ধান সংগ্রহের পাশাপাশি দেড় লাখ টন চাল আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। আজ (বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর) সকালে খাদ্য অধিদপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসবে ৯১ হাজার টন চাল

দেশের বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে চাল আমদানির অনুমতির পাশাপাশি আমদানিতে পুরোপুরি শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। এরপর থেকে আমদানি প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। এরইমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই বন্দরের ১৩ জন আমদানিকারক প্রায় ৯১ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। ইমপোর্ট পারমিট পাওয়ার পর এসব চাল আমদানি করবেন ব্যবসায়ীরা। আগামী সপ্তাহে বাজারে আসতে পারে ভারতীয় আমদানিকৃত চাল।

চাল আমদানিতে পুরোপুরি শুল্ক প্রত্যাহার করলো এনবিআর

চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। মজুত বাড়ানোর পাশাপাশি দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে প্রতি কেজি চালের দাম আমদানিপর্যায়ে আরো ৯ টাকা ৬০ পয়সা কমবে।

আমদানি পর্যায়ে চালের দাম কেজিতে সাড়ে চৌদ্দ টাকা কমালো এনবিআর

কমলো ১০% আমদানি ও ২০% রেগুলেটরি শুল্ক

চাল আমদানিতে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ২০ শতাংশ রেগুলেটরি শুল্ক কমালো এনবিআর। এছাড়া বিদ্যমান ৫ শতাংশ অগ্রিম শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে প্রতি কেজিতে চালের দাম কমবে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা।

চালের দাম বাড়ায় ক্ষোভ ঝাড়লেন খাদ্যমন্ত্রী

চালের দাম বাড়ার জন্য মন্ত্রীর সামনেই পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করলেন খুচরা-পাইকারি বিক্রেতা, মিলার-আড়ৎদার প্রত্যেকে। তবে শেষ পর্যন্ত বাজারে অস্থিরতার জন্য সবপক্ষকে দায়ী করে আবারও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী।