আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

অর্থনৈতিক অস্থিরতার মাঝেও বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে বেনাপোল কাস্টম হাউসে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। গেল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে যেখানে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২২২ কোটি টাকায়। যা, গত বছরের তুলনায় ৪৪৫ কোটি টাকা বেশি। তবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে পূরণ হয়নি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা। ১১৫ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। কাস্টমস ও বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও রাজস্ব আদায়ের যে ধারাবাহিকতা রয়েছে তা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে অর্জন করা সম্ভব হবে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা।

দূরত্ব কম ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে স্থল পথে বাংলাদেশের যে বাণিজ্য হয় তার প্রায় ৮০ শতাংশ আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। এ বন্দরে বছরে পণ্য আমদানি হয় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার। যা থেকে প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে সরকার। অর্থবছরের শুরুতেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। তার বিপরীতে বেনাপোল এই ৬ মাসে রাজস্ব আদায় করেছে ৩ হাজার ২২২ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১৫ কোটি টাকা কম। তবে বিগত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় চলতি বছরে বেড়েছে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ।

গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি হয়েছিল ৮ লাখ ২৪ হাজার ১৯৩ মেট্রিক টন যা চলতি বছরে কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮০ হাজার ১১২ মেট্রিক টনে। তবে, পণ্য আমদানি কম হলেও রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছরে পণ্য খালাসে তড়িৎ ব্যবস্থা, শুল্ক ফাঁকি বন্ধ ও পণ্যের সঠিক শুল্কায়ন হওয়ায় সামগ্রিক আমদানি কম হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে রাজস্ব আয়।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মির্জা রাফেজা সুলতানা বলেন, ‘শুল্ক ফাঁকি বন্ধে আমাদের যে সঠিক এসএস কোড তা সহায়ক ভূমিকা রাখছে। পণ্যের সঠিক শুল্কায়ন হওয়ায় সামগ্রিক আমদানি কম হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে রাজস্ব আয়।'

দেশের সর্ববৃহৎ এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪শ’ থেকে ৫শ’ ট্রাক পণ্য আমদানি এবং ১শ’ থেকে ২শ’ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। আমদানি করা এ সকল পণ্য কাস্টমস শুল্কায়ন এবং বন্দর মাশুল আদায় শেষে দ্রুততার সাথে খালাস করা হচ্ছে।

বন্দরের অবকাঠামোগত সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করা গেলে বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আরো বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ইএ