বৈশ্বিক মন্দা ও ডলার সংকটে পুরো বছরই নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। আমদানি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণমূলক নীতির পাশাপাশি ডলারের উচ্চমূল্যে ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে শতভাগ নগদ অর্থ পরিশোধ করতে হওয়ায় পণ্য আমদানিতে ভাটা পড়ে। কসমেটিকস, প্রসাধনী সামগ্রী, গাড়ির মতো বিলাস পণ্যই শুধু নয়, কমেছে শিল্পের মূ্লধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি।
সামগ্রিক হিসাবে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কিছুটা বাড়লেও.কমেছে উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি । এতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
২০২৩- ২৪ অথবছরে ৭৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সাময়িক হিসেব রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ৬৯ হাজার কোটি টাকা। প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা ঘাটতি থাকলে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায় নিয়ে সন্তুষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সিএন্ডএফ এজেন্ট ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হলে শুল্ক কর্মকতাদের আরও ব্যবসাবান্ধব হতে হবে। সেই সঙ্গে সমজাতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কহার একই রকম বা সমান করতে হবে। উচ্চ জরিমানার কারণেও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।
তবে ডলার সংকট কিছুটা কাটায় নতুন অর্থ বছরে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে আবারও চাঙ্গাভাব ফিরেছে বলে জানান চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক এ কে এম আখতার হোসেন।
এদিকে বছরের শেষ প্রান্তিকে আমদানি-রপ্তানি বাড়ায় এক বছর পর আবার কনটেইনার হ্যান্ডলিং সাড়ে ৫ শতাংশ বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের। বেড়েছে কার্গো হ্যান্ডলিংও। জাহাজ গেল বছরের চেয়ে কম ভিড়লেও বড় জাহাজ আসায় সমাপ্ত অর্থবছরে বন্দর প্রায় ৩১ লাখ ৬৯ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে।
এর আগে ২০২১- ২২ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর সর্বোচ্চ ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে । গেল দুই বছরে কনটেইনার উঠা নামা কমায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান লয়েডলিস্টে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি ব্যস্ততম বন্দরের তালিকায় তিন ধাপ পিছিয়ে পড়ে চট্টগ্রাম বন্দর।