অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে উন্নয়নের নামে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতা গোষ্ঠীর ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতির জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে না।’ তার মতে, দেশের অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হলে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বাড়ানোর বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাট ও কর আদায়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে, যেন আদায়কৃত অর্থ যথাযথভাবে সরকারের কোষাগারে পৌঁছায়।’ কোনো ধরনের কারচুপি বা অনিয়ম যেন না হয়, সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বক্তব্যে বাংলাদেশের ট্যাক্স জিডিপি অনুপাতের বিষয়টিও উঠে আসে। যার অনুপাত প্রায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করছে, যা উন্নয়নশীল অনেক দেশের তুলনায় কম। একই সঙ্গে জিডিপির তুলনায় ভ্যাট আদায়ের পরিমাণও এখনও তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশের সম্পদ না বাড়ালে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। ব্যক্তি পর্যায়ে কর ও ভ্যাট প্রদানকে সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।’
তবে অর্থনীতিকে টেকসই করতে ভ্যাটের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল না হয়ে আয়ের করভিত্তিক ব্যবস্থা শক্তিশালী করার ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি। এনবিআরের সেমিনারে অর্থনীতি বিশ্লেষক, কর কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।





