রেকর্ড কনটেইনার ও খোলা পণ্য ওঠানামা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে
চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ কনটেইনার ও খোলা পণ্য ওঠানামা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। বছরজুড়ে ডলার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতার পরও আমদানি-রপ্তানির এমন চিত্রকে ব্যতিক্রম বলছেন ব্যবসায়ীরা। ২০২৪ সালে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী প্রায় ৩২ লাখ একক কনটেইনার ওঠানামা করেছে, আর খোলা পণ্য খালাস হয় প্রায় ১৩ কোটি টন। এতে তৈরি হয়েছে রেকর্ড আয়ের সম্ভাবনা।
১৩৭ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর, আগ্রহ বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের
প্রতিষ্ঠার ১৩৭ বছরে পর্দাপণ করলো চট্টগ্রাম বন্দর। এ বছর গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের উদ্যোগকে চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন ব্যবহারকারীরা। শুধু তাই নয় এবার অপার সম্ভাবনার বন্দর হিসেবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নজরও কেড়েছে এই বন্দর। এ ছাড়া আগামীর বন্দর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ২২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বে টার্মিনালকে ধরা হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সোপান হিসেবে।
বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আদায়: চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৯ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি
সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ৯ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি থাকলেও প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৯ শতাংশ। তবে এলসি জটিলতা ও ডলার সংকটে বাণিজ্যিক ও বিলাসী পণ্য আমদানি কমায় রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
বন্দরে বড় জাহাজে পণ্য আনায় সুফল মিলছে
চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে ১৯১টি জাহাজ কম ভিড়িয়েও প্রায় দেড় লাখ কনটেইনার বেশি হ্যান্ডলিং করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। ব্যয় সাশ্রয়ে শিপিং কোম্পনিগুলো এখন ছোট জাহাজের পরিবর্তে বড় জাহাজে করে পণ্য আনায় সুফলও পাওয়া যাচ্ছে।