যেখানে হাতে ৫-৭ জোড়া চামড়ার জুতা তৈরিতে লাগে ১ ঘণ্টা, সেখানে টোলাস্টিং নামের এক মেশিনে একই সময়ে তৈরি হচ্ছে ৫০ জোড়া চামড়ার জুতা। তাই এবারের চামড়া মেলায় অনেকেরই নজর কেড়েছে এটি। মেশিনটির বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানটিও চাইছে সবার কাছে এটিকে তুলে ধরতে।
তাদের একজন বলেন, 'টোলাস্টিং জুতার দুই দিক নিয়েই কাজ করে। চামড়ার জুতা প্রতি ঘণ্টায় ৫০-৬০ পিচ করা যায়। আর কেডস তৈরি করা যাবে ১২০-১৫০ পিচ।'
চামড়াজাত পণ্য তৈরির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে এবারের মেলায় হাজির হয়েছে জার্মানি, ইতালি, চায়না, ভারতসহ ৮টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সেখানে তারা দেখানোর চেষ্টা করেন কিভাবে হাতের স্পর্শ ছাড়াই তৈরি হয় চামড়াজাত পণ্য। চেষ্টা আছে এসব প্রযুক্তির বাজারজাতকরণেও।
এক ছাদের নিচেই প্রায় দুইশটি প্রতিষ্ঠান। তাই একে বড় সুযোগ হিসেব দেখছেন দেশিয় উদ্যোক্তারা। বলছেন, নতুন নতুন মেশিনারিজের সঙ্গে পরিচিত হবার পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ হচ্ছে মেলায়।
এক উদ্যোক্তা বলেন, 'অনেক বায়াররা এসেছে। তারা দেখছে বাংলাদেশ এখন চামড়া রপ্তানি করতে পারছে। চামড়া সংরক্ষণের জন্য আমাদের অনেক নেতিবাচক দিক রয়েছে।'
সঠিক সংরক্ষণের মাধ্যমে চামড়া শিল্প আরও সম্প্রসারণ করা সম্ভব, সাথে দরকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশিয় উদ্যোক্তারা আরও সম্ভাবনার সাথে দেশিয় পণ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের।