পোশাক খাতের পরে রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থান চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই সেক্টরে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে, রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে।
এছাড়া ওষুধ, কৃষিজাত পণ্য, হস্তশিল্পে দিনে দিনে দেশের আয় বাড়ছে। এক্ষেত্রে দেশীয় উপাদান ব্যবহার, সাশ্রয়ী শ্রম ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকায় বহুমাত্রিক পণ্য নিয়ে বিদেশের বাজারে প্রবেশে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সেসব জানান দিতে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ অনুষ্ঠান হয়েছে। যেখানে চীন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে দেশের শিল্প সংশ্লিষ্টরা তাদের সক্ষমতা ও সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া সুবিধাদি তুলে ধরেন। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, 'কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের শিল্পকে নতুন করে সাজাতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ পণ্যের মানের জন্য সারাবিশ্বে মর্যাদা লাভ করবে।'
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুল মুক্তাদির বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে পছন্দের একটি দেশ। কারণ, অন্যসব দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশ তাদেরকে সরবরাহের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সুতরাং আমরা এটার সুবিধা নিচ্ছি।'
নতুন সরকার রপ্তানিতে জোর দিচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বিশ্ববাজারে বহুমাত্রিক নতুন পণ্য নিয়ে প্রবেশ করতে চায় বাংলাদেশ। আঞ্চলিক যোগাযোগ ও সম্পদ বিনিময়ের আহ্বান তাঁর।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'নতুন সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী আমরা নতুন নীতির মধ্যেই থাকবো। বিশেষ করে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রগতিশীল পন্থায় এগুতে চায়। আমরা বিভিন্ন পণ্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে আধিক্য বাড়াতে চাই।'
নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও রপ্তানির সুবিধা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ বিনিয়োগের অন্যতম হাব হবে বলে জানান আগত অতিথিরা।