২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযানের জেরে রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে তাদের জ্বালানি তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে জ্বালানি তেলের দাম। একইসঙ্গে ডলারের দামও বাড়তে থাকায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জ্বালানি আমদানি কমিয়ে দেয়।
এতে করে তেল উত্তোলনকারী দেশগুলোর ব্যবসা কমে যায়। তাই দামে সামঞ্জস্য ফেরানোর জন্য সৌদি আরব ও রাশিয়ার নেতৃত্বে থাকা ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেই ধারা তারা এখনও অব্যাহত রেখেছে।
এরইমধ্যে চলতি বছর টানা দুই প্রান্তিকে প্রতিদিন ২২ লাখ ব্যারেল তেল কম উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৮টি দেশ। এ আওতায় এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ১০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমিয়ে দেবে সৌদি আরব। এতে প্রতিদিন তাদের উৎপাদন নেমে আসবে ৯০ লাখ ব্যারেলে। এছাড়া একই সময় রাশিয়া কমিয়ে দেবে ৪ লাখ ৭১ হাজার ব্যারেল উৎপাদন। কমানোর তালিকায় নাম আছে ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাজাখস্তান, আলজেরিয়া ও ওমানেরও।
এই পদক্ষেপে ২০২৪ সালে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজার আরও অস্থির হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এরসঙ্গে লোহিত সাগরে হুতি আতঙ্ক আরও বাড়াতে পারে সংকট। ইতোমধ্যে ভালো মানের অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১.৬৪ ডলার বেড়ে ৮৩.৫৫ ডলারে পৌঁছেছে। এতে চলতি বছর এখন পর্যন্ত দাম বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বছরের প্রথম তিন মাসের মতো দ্বিতীয় তিন মাসেও ওপেক প্লাসের তেল উত্তোলন কমানোর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার সিদ্ধান্ত যখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, তখন আন্তর্জাতিক জ্বালানি শক্তি সংস্থা দাবি করছে, চলতি বছর রেকর্ড ১০ কোটি ব্যারেলে বেশি তেল উৎপাদন বাড়বে, যেখানে ভূমিকা রাখবে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলোর বাইরে থাকা তেল উৎপাদক দেশগুলো।