আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

এলডিসি পরবর্তীতে বাণিজ্যিক সুবিধা কমতে পারে

এলডিসি থেকে উত্তরণ হওয়া দেশগুলোর অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেশি বলে ধরা হয়। ২০২৬ সালে সেই তালিকা থেকে বের হবে বাংলাদেশ। যে কারণে কিছু বাণিজ্য ও অন্যান্য সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে, তবে কিছু সুবিধাও মিলবে।

এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা কমার পাশাপাশি এ খাতে বাড়বে অসম প্রতিযোগিতা। এমনকি দেশের পণ্যের ওপর নিয়মিত হারে শুল্ক বসবে। এছাড়া রপ্তানি আয়-ব্যয় হিসাবের ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারলে দেশের রপ্তানি আয় কমার শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

পুরোপুরি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিবেচিত হলে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বেশি সুদে ঋণ নিতে হবে। সেই সঙ্গে বাড়বে জাতিসংঘের চাঁদার পরিমাণ। অন্যদিকে বিদেশি অনুদান ও সহায়তা কমে যাবে।

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী সুবিধা-অসুবিধা ও রপ্তানি প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকা চেম্বারে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে এ নিয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

সরকারের পক্ষ থেকে যেসব খাতে প্রণোদনা দেয়া হতো, সম্প্রতি ধীরে ধীরে তা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান ব্যবসায়ীরা। আর এসব সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই তাদের সাথে আলোচনার দাবি জানান ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আশরাফ আহমেদ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রণোদনা যখন থাকবে না তখন নিজ প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ ব্যবসার পরিবেশ ঠিক থাকতে সরকারের সাথে মিলে কাজ করতে হবে।

অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেন, ‘রপ্তানির সুবিধা যখন থাকবে না তখন নিজের প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি ব্যবসায়িক পরিস্থিতির সামগ্রিক উন্নয়ন করার লক্ষ্যে সরকারের সাথে আলোচনা করতে হবে।’

দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে রপ্তানি শিল্প। সেই খাত স্বল্পোন্নত ‌বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে যেন ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে বিষয়ে নজর রাখার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

এভিএস