উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে বেশ জায়গা করে নিচ্ছে জাহাজ ভাঙা শিল্প। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বছরে অন্তত ৩০ লাখ টন জাহাজ আমদানি করে বাংলাদেশের ৬০ টি শিপিং ইয়ার্ড। যেখান থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা কাস্টমস ডিউটি পায় সরকার। আর এ খাতে ২০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়।
একটি জাহাজ আমদানির পর তার ওজন নির্ধারণ হয় ভাসমান অবস্থায়। ভাঙা জাহাজের কিছু অংশ ব্যবহার হয় অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী ছোট জাহাজ তৈরিতে। তবে বেশিরভাগ অংশই দেশের ইস্পাত শিল্পের চাহিদা মেটায়। জাহাজের প্রতিটনে আমদানি শুল্ক ১ হাজার ৫০০ টাকা। এরপর ভেতরে থাকা তেল ও আসবাবপত্রসহ আনুষাঙ্গিক আরও কিছু পণ্যের ওপরও শুল্ক আরোপ হয়।
বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স এন্ড রিসাইক্লার্স এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহীন আলম টিপু বলেন, ‘ডলার সংকটের কারণে গত দুই বছরে তাদের বিনিয়োগ বেশ কমে গেছে। তাই আমদানির ওপর মূল শুল্ক রেখে বাকিটায় কাটছাঁট চান তারা’।
তিনি বলেন, 'ওজন দেখার পর টনের হিসাব করে টাকা দেয়ার পরও অতিরিক্ত ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত জাহাজ থেকে একই পরিমাণ শুল্ক নেয়া হচ্ছে।'
তবে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রাক বাজেট আলোচনায় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, দেশে জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগের বিপরীতে বড় কোনো অগ্রগতি দেখছেন না তিনি। তাই ছাড়ের আগে ভেবে দেখতে চায় এনবিআর।
বাজেট আলোচনায় আরও বেশকিছু খাতে ট্যাক্স ও শুল্ক কমানোর দাবি নিয়ে হাজির হয় সিএন্ডএফ, শিপিং, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং, ট্যাক্স লইয়ার্স ইন্ডেন্টরসহ বেশ কয়েকটি পেশাজীবী সংগঠন।





