এসময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, 'দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত উৎপাদন থাকা সত্ত্বেও সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার কারণে বাজারে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক হচ্ছে না।'
এমতাবস্থায় বাজারে পণ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ এবং সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থা সুসংহতকরণের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমাজের সহযোগিতার কামনা করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী জানান, হস্তশিল্পকে চলতি বছরের জন্য বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা হস্তশিল্পের পাশাপাশি অপ্রচলিত পণ্যের প্রসারের লক্ষ্যে 'একটি গ্রাম, একটি পণ্য' উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। যার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত এ ধরনের পণ্যের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হবে।'
পণ্য আমদানিতে এলসি জটিলতা বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের উদ্যেক্তারা এলসি খুলছে, তবে বিষয়টি মূলত নির্ভর করে ব্যাংক ও আমদানিকারকের মধ্যকার পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের উপর।'
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, 'আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের ইতোমধ্যে ভূটান, ডি-৮ এবং আপটা-এর সাথে ৩টি 'অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি' (পিটিএ) এবং 'সাফটা' ও 'সার্ক' এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড ইন সার্ভিসেস (এসএটিআইএস) ২টি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) রয়েছে।'
এছাড়াও আরও ১২টি দেশের সাথে 'পিটিএ' ও 'এফটিএ' স্বাক্ষরের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যেগুলো দ্রুততম সময়ে সম্পন্নের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান। সেইসাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনাময় গন্তব্যের দেশসমূহের সাথে পিটিএ এবং এফটিএ স্বাক্ষরে উদ্যোগী হওয়ার প্রতি জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি।