কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলের ৩০ দিনে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা তার আগের মাস মার্চ থেকে ৪ কোটি ৬২ লাখ ডলার বেশি। গত মার্চে প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠায়।
খোলা বাজারে ডলারের দাম যখন লাফিয়ে বাড়তে থাকে তখন ব্যাংকিং চ্যানেলে কম আসতে শুরু করে রেমিট্যান্স। পরে ধারাবাহিকভাবে নানা উদ্যোগ ও পদক্ষেপের ফলে পুনরায় ব্যাংক খাতে প্রবাসী আয় বাড়ে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় আসে ২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বা ২১৭ কোটি ডলার। সে হিসাবে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে রেমিট্যান্স কমে ৭.৭১ শতাংশের বেশি।
চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে এসেছিল ২১০ কোটি ডলার।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলার। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার।
আগামী জুন মাসে কোরবানি ঈদ রয়েছে। তাই রেমিট্যান্সের জন্য ব্যাংকগুলোর প্রনোদনা ঠিক রাখলে এবং খোলা বাজারের সঙ্গে ব্যাংকে ডলারের দামের পার্থক্য কম রাখালে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের ইতিহাসে ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান।