ব্যাংকপাড়া
অর্থনীতি
0

পাচারের অর্থ ফেরাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে আলোচনা হয়েছে: ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান

গত ১৫ বছরে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি পাচার হওয়ায় তারল্য সংকটে পড়েছে দেশের বেশ কিছু ব্যাংক। এ কারণে অর্থ ফেরত না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রাহকরা। পরিস্থিতি উন্নয়নে আজ (বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সমস্যা জর্জরিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের সাথে বৈঠক করেছে বিশ্বব্যাংক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলও গভর্নর। পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।

গত ১৫ বছরে আওয়ামী সরকারের আমলে দেশের ব্যাংক খাত থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার বেশি। এস আলম, সালমান এফ রহমান, নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ প্রভাবশালী ও বিতর্কিত ব্যবসায়ীরা বছরের বছর টাকা পাচার করে দুর্বল করেছে ব্যাংক খাত। সৃষ্টি হয়েছে তারল্য সংকট, আর টাকা না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গ্রাহকরা। 

এমন অবস্থায় ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নর। এজন্য সরকারের সাথে কাজ করা শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তৈরি করা হয় রোডম্যাপ।

এরই প্রেক্ষিতে যেসব ব্যাংক থেকে অর্থ পাচার হয়েছে সেগুলোর শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের সাথে বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠকে বসে বিশ্বব্যাংক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ট্রেজারি প্রতিনিধি দল ও গভর্নর।

বৈঠকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।

তিনি বলেন, ‘যারা বিদেশে টাকা নিয়ে গিয়েছে সেটা কীভাবে রিকভারি করা যাবে তা নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের বাংলাদেশি ব্যাংকের সমস্যা নিয়ে কোনো কথায় হয় নাই।’

তবে ব্যাংক পুনর্গঠন বা সংস্কারের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি। দেশ থেকে একবার অর্থ পাচার হলে তা ফিরিয়ে নিয়ে আসা কঠিন বলে জানান এই ব্যাংক চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, ‘যারা বিদেশে টাকা পাচার করে ওরা আমাদের থেকে চালাক বেশি। আর বিদেশি আইন অনেক শক্ত। টাকা বের হয়ে গেলে আনা এত সহজ না। তবে তাদের আমরা সহযোগিতা করবো।’

ইউক্রেনে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে নিয়ে আসার নজির রয়েছে। তাই সদিচ্ছা ও সঠিক পরিকল্পনা থাকলে দেশের পাচার হওয়া অর্থও ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন ব্যাংক মালিকরা।

ইএ