হঠাৎ করে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকটে পড়তে হয়। তাই ব্যাংকে জমা থাকা অর্থের বেশিরভাগই তুলে নিচ্ছেন অনেকে।
সকাল ১১টায় ব্যাংক লেনদেন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই অনেকেই আসেন টাকা জমা বা উত্তোলনের জন্য। তবে টাকা জমা দেয়ার থেকে তুলে নেয়াটাই বেশি দেখা গেছে। এর কারণ হিসেবে জানালেন হাতে নগদ অর্থ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।
এক গ্রাহক বলেন, 'অফিস-আদালত ও ইন্টারনেট চালু হওয়ায় আমরা টাকা তুলতে পারছি। এই কয়েকদিন বন্ধ থাকায় খুবই কষ্টে ছিলাম।'
সবশেষ বৃহস্পতিবার কিছুটা লেনদেনের পর বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এতে গত কয়েকদিনে জরুরি প্রয়োজনেও টাকা তুলতে পারেননি অনেকে। পরে দুএকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ কাজ করলেও বেশিরভাগ বন্ধ রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার ৫০ ও বৃহস্পতিবার ৭৫ শতাংশ ব্যাংকের শাখা খোলা রেখে সকাল ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত লেনদেন চালুর নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর সেই নিয়ম মেনেই প্রথম দিন কার্যক্রম শুরু করেছে ব্যাংকগুলো।
সেক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজস্ব শাথাগুলোর মধ্যে স্বাভাবিক লেনদেন করা গেলেও অনলাইন এবং অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত আকারে চলছে বলে জানান সোনালি ব্যাংক লোকাল অফিস শাখার ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক কাজগুলো হয়তো আমরা সেভাবে করতে পারছি না। তবে সহসাই সেটা পারবো। অনলাইন সেবা গ্রাহকরা নিতে পারছে।'
এদিকে ব্যাংকের সাথে সম্পর্ক থাকায় গত কয়েকদিন বন্ধ ছিল দেশের পুঁজিবাজারও। পরে বুধবার ব্যাংক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এদিন শেয়ারবাজারেও সকাল ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত লেনদেন চালু করা হয়।
তবে এদিন সকাল থেকেই নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায় বাজারে। দিনভর নিম্নমুখী লেনদেনে বুধবার কার্যক্রম শেষ হয় পুঁজিবাজারে।
এদিন লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচকের পতন হয়েছে ৯৫ পয়েন্টের বেশি। সেই সাথে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৫৯ কোটি টাকা। আর ৩৯০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ২০টির, কমেছে ৩৫৫ আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির।
সপ্তাহের চতুর্থ দিনে লেনদেন চালু হলেও অনেকটাই হতাশার কথা জানালেন বিনিয়োগকারীরা।