ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমানো ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্যাংকের সংখ্যা কমিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনায় চলছে ব্যাংক একীভূতকরণ। এ নিয়ে ৪ এপ্রিল প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে এরইমধ্যে সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি দুর্বল ব্যাংক ভালো পোর্টফলিওর ব্যাংকে একীভূত হবার খবরে চাকরি হারানো নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে দুর্বল ব্যাংকের কর্মীদের মাঝে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সাফ জানিয়ে দিলেন এখনই কারও চাকরি হারানোর শঙ্কা নেই। চূড়ান্ত একীভূতকরণের আগে প্রত্যেক ব্যাংক স্বাভাবিকভাবে নিজ নিজ কাজ চালিয়ে যাবে।
মেজবাউল হক বলেন, 'দীর্ঘমেয়াদী একটা কার্যক্রম আমাদের হাতে থাকবে। এবং এই দীর্ঘমেয়াদে চূড়ান্ত একীভূতকরণের আগে পর্যন্ত বা কোনো কারণে একীভূত না হলেও ব্যাংকের কার্যক্রমগুলো স্বাভাবিক ধারায় পরিচালিত হবে।'
মুখপাত্র জানান, স্বেচ্ছায় একীভূতকরণের ৫টি প্রস্তাবের বাইরে নতুন কোনো প্রস্তাব আপাতত গ্রহণ করা হবে না। ১০টি ব্যাংকের অ্যাসেট ভ্যালু অডিট ফার্মের মাধ্যমে মূল্যায়নের দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ৫টি ব্যাংক অবসায়িত করা হবে। আর এক্ত্রীকরণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে আদালত। পুরো প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে অন্তত দুই থেকে তিন বছর।
মেজবাউল হক আরও বলেন, 'চূড়ান্ত আবেদন তো একেবারে শেষে এসে করা হবে। ফর্মাল এক্সপ্রেশনের ফিনট্রেস্টটাও আমরা একটার কাছেই পেয়েছি এবং এটা পাওয়ার পরেই আমরা অডিট ফার্ম নিয়োগ দিয়েছি। বাকিগুলো প্রসেসে আছে।'
একীভূত হতে পাঁচটির ভেতর এ পর্যন্ত শুধু পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক আবেদন পাওয়া গেছে। চলছে ব্যাংক দুটির আর্থিক মূল্যায়নের কাজ। অন্য তিনটির আনুষ্ঠানিক আবেদনের প্রক্রিয়া চলমান। প্রথম ধাপে এসব ব্যাংক একীভূতকরণের ফলাফল বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তীতে বাকি দুর্বল ব্যাংকগুলোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান মুখপাত্র মেজবাউল হক।