গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গেল ছয় মাসে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি ২৬ শতাংশ বেড়েছে যা তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি। একই সময় দেশ থেকে রপ্তানি বেড়েছে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের।
যদিও পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট আর রাজনৈতিক নানা হিসাব নিকাশে বৈদেশিক বিনিয়োগ নিয়ে রয়েছে চিন্তা। এ অবস্থায় সরকার বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে যখন তৎপর তখন দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের। দ্রুতই নির্বাচনী রোডম্যাপ আসবে জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন এতে বিনিয়োগের সংকট কেটে যাবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক একটা অনিশ্চয়তা যখন দেখেন কেউ তখন সেখানে কিন্তু সহজে কেউ ইনভেস্ট করতে আসতে চান না। আমাদের জন্য একটা কঠিন কাজ সামনে। আমরা আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি একটা রোডম্যাপ এসে যাবে। তখন আস্থা ফিরে আসবে আমাদের যে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আছেন।’
শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর এনআরবি আয়োজিত ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। এসময় সম্প্রতি এয়ারপোর্টে প্রবাসীকে হয়রানির বিষয় দুঃখ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘যে ঘটনাটা সম্প্রতি ঘটেছে। অবিলম্বে এটার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এবং আমি নিশ্চিত যে কালপ্রিট সে শাস্তি পাবে। আমার কলিগরা প্রত্যেকে এ ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন এবং তারা চান যে এ ব্যাপারটা যেন যথেষ্ট ইমপ্রুভ করা যায়। আমাদের কিন্তু ছোটখাটো একটা অপরাধ ঘটলে সেটা খুব বেশি করে উপস্থাপন করা হচ্ছে। অথচ একই কাজ যদি একজন ভালো দিকে করেন সেটা কিন্তু এতোটাও উপস্থাপন হচ্ছে না।’
একই অনুষ্ঠানে দেশ থেকে অর্থ পাচার বন্ধ হয়েছে উল্লেখ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, এতে দেশের আর্থিক খাতের সুশাসন ফিরেছে। আর সম্প্রতি ডলার বাজারের অস্থিরতার জন্য বিদেশি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর জোটকে দায়ী করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘দুবাই থেকে রেমিট্যান্স হঠাৎ করে এক নম্বর হয়ে গেছে। সৌদি আরব এক নম্বরে নেই। কেন? কারণ সৌদি আরবের টাকাগুলো সব দুবাইতে চলে এসেছে এবং দুবাই থেকে এটা বাংলাদেশে আসছে। এটা কিন্তু ভালো লক্ষণ না। ভালো লক্ষণ না এইজন্য যে কিছু প্রভাবশালী বড় কোম্পানি তারা এই অর্থটাকে ইগনিগেট করে একটা বার্গেনিং প্রসেসে আমাদের এক্সচেঞ্জ রেটকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করে।’
এখনও চার মাস চলার মতো রিজার্ভ আছে উল্লেখ করে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান গভর্নর।