দেশে এখন
অর্থনীতি
0

তিন বিভাগে প্রাণিসম্পদের ক্ষয়ক্ষতি দেড় কোটি টাকার

নোয়াখালী

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলীয় সব এলাকা। এখনো পানিতে ডুবে আছে অনেক গোচারণ ভূমি। এমন অবস্থায় তৈরি হয়েছে পশুখাদ্যের সংকট। যার প্রভাব পড়তে পারে কোরবানির বাজারে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে প্রায় দেড়কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

নোয়াখালীর বিভিন্ন চরে প্রায় পানিতে ভেসে গেছে ৫ শতাধিক গরু, মহিষ ও ভেড়া। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক একর গবাদি পশুর ঘাস চাষ। এক হাজার টনের বেশি শুকনো খড় নষ্ট হয়েছে পানিতে ভিজে। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চরগুলো থেকে কিছু গরু মহিষ নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নিতে পারলেও বেশিরভাগই ক্ষতিগ্রস্ত। কোরবানির হাটে লোকসানের আশঙ্কা তাদের।

স্থানীয়দের একজন বলেন, 'ভেড়া, গরু, ছাগল ভেসে গিয়েছে। খড় ভিজে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।'

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপকূলীয় এলাকায় ক্ষতি নিরূপণের কাজ করছে। তাদের হিসাবে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে গো খাদ্যের । বিশেষ করে খড় ও ঘাস নষ্ট হয়েছে।

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেক চর ও দ্বীপের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো পুরোপুরি নিরূপণ করতে পারেনি প্রশাসন।

নোয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'আমরা জানতে পেরেছি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছের ঘের। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে এই কারণে তেমন তথ্য নিতে পারছি না।'

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঘাস ও খড়ের ক্ষতির কারণে বেড়ে গেছে গোখাদ্যের দাম। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এসময় গোখাদ্য সংকটে জেলার খামারিরা। এর প্রভাব পড়তে পারে ঈদের বাজারে।

আসছে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে নোয়াখালীতে ১ লাখ ৭০ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে যার অধিকাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর