অর্থনীতি
0

চলতি অর্থবছরে বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির শঙ্কা

নতুন মেয়াদের সরকারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট দিতে বাকি এখনো দুই মাস। এরই মাঝে বাজেট নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সরকার। অন্যদিকে এ সময়ে সরকারের রাজস্ব আহরণ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩৭ শতাংশ।

গত ছয় মাসে সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬.৩ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তি মাত্র ১৩.৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ এ সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। শেষ ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের চলমান ধারা পর্যবেক্ষণে অর্থবছর শেষে প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে বলে দাবি করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়, বিগত বছরগুলোতে রপ্তানি, রাজস্ব ও রেমিট্যান্সের যে ধারাবাহিকতা ছিলো সেটি বর্তমানে নেই।

সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতা বিবেচনা করে যদি দেখি, চলতি অর্থবছরেও রাজস্ব আহরণে একটা ঘাটতি থাকবে। আপনারা জানেন, গত ১০ থেকে ১১ বছর ধরেই এ ঘাটতি চলছে।’

এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে বলেও জানায় সিপিডি। এ পরিস্থিতিতে সরকারকে সামষ্টিক অর্থনীতির দিকে নজর না দিয়ে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বাজেট দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। যে বাজেটের ফলে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি রোধ, ব্যাংকের তারল্য সংকট থেকে উত্তরণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স হার কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে প্রাধান্য দেয়ার আহ্বান করা হয়।

সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ের বিভাগের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন। আমার মনে হয়, প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে এখন এক ধরনের জবাবদিহিতার ভেতরে নিয়ে আসার দরকার রয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো দু’টি বেসরকারি ব্যাংক একীভূত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই বিষয়কে ভালোভাবেই দেখছে সিপিডি। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্যাংকিং সেক্টরে মার্জের প্রয়োজন এতে ব্যাংক ও অর্থনীতির জন্য ভালো। তবে একইসঙ্গে মার্জার করার ফলে যেন শক্তিশালী ব্যাংক দুর্বল না হয়, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখারও আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া অর্থনীতির নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কঠোর ও অজনপ্রিয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের মেয়াদের প্রথম বছরকেই সেরা সময় মনে করছে সংস্থাটি।