এরই মধ্যে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। শীতলক্ষ্যা ও মেঘনা তীরের দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল যখন ২২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এনেছে তখন তৃতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের চূড়ান্ত অনুমোদন পেল সিটি গ্রুপ।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রাথমিকভাবে সিটি গ্রুপের ৯৩ একর জমি নিয়ে শুরু হচ্ছে। যা ভবিষ্যতে ১৫০ একরে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ায় নৌপথ ও সড়কপথে যোগাযোগের সুব্যবস্থা রয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলটির অবস্থান রাজধানী থেকে ২৫ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে।
এদিন সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. হাসানের হাতে পূর্বগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স তুলে দেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
মো. হাসান জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে এরই মধ্যে বিদেশিরা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পুরো কাজ শেষ হলে এখানে ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্টিল মিল, সিরামিক ও কেমিক্যাল খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো থেকে পুরোপুরি সফলতা পেতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন সিটি গ্রুপের এমডি।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘গ্যাস সংকট কাটিয়ে উঠতে জ্বালানি মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্যোগগুলো কার্যকর হলে গ্যাসের যে চাহিদা রয়েছে সেটি সহজেই পূরণ হবে।’
এখন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ২২টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজা। সিটি গ্রুপের পূর্বগাও ১৩তম চূড়ান্ত নিবন্ধন পাওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল।