ঝালকাঠি শহরের ৫টি কারখানায় তৈরি হচ্ছে সেমাই। প্রতিটি কারখানায় প্রতিদিন গড়ে তৈরি হচ্ছে এক হাজার কেজি সেমাই। রাসায়নিক ও কৃত্রিম রং ছাড়াই তৈরি হওয়ায় প্রতিবছরই বাড়ছে চাহিদা। তুলনামূলক কম দাম ও মান ভালো দিন দিন বাড়ছে বাজার।
জোগান ঠিক রাখতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন কারখানার শ্রমিকরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজারে। মক্কা, মদিনা, জেদ্দা, মিনার ও কুলসুম নামের সেমাই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। পাশাপাশি রয়েছে চিকন ও লাচ্ছা সেমাইও।
কারিগরদের মধ্যে একজন বলেন, ‘১২ মাসের মধ্যে ১১ মাস আমাদের এই ব্যবসা কম চলে, এক মাস একটু ভালো চলে।’
আরেকজন কারিগর বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার কাঁচামালের দাম অনেক বেশি। এভাবে আমরা তো পেরে উঠছি না।’
প্রতিবছর বড় হচ্ছে বাজার। বাড়ছে উৎপাদন ও বিপণন। বিষয়টি বিবেচনা করে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেয়ার কথা জানান বিসিক কর্মকর্তা।
ঝালকাঠি বিসিকের শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন বলেন, ‘সেমাই শিল্পের সাথে বেশ কিছু শ্রমিক এবং মালিক জড়িত রয়েছে। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এই শিল্পের মালিকরা যদি বিসিকের কাছে আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তা চায়, তাদেরকে সহায়তা করা হবে।’
এ বছর ঝালকাঠির কারখানায় উৎপাদিত প্রতি কেজি লাচ্ছা সেমাই ১১৫ টাকা এবং চিকন সেমাই ৯৫ টাকা পাইকারি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই ১২৫ টাকা এবং চিকন সেমাই ১১০ টাকা কেজি দরে।