উত্তরের অন্যতম পুরনো বিদ্যাপীঠ বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে শিক্ষার্থীদের পাঁচটি আবাসিক হলের চারটিই বন্ধ। তার মধ্যে শের-ই বাংলা ফজলুল হক হল এখন পরিত্যক্ত। কলেজ সীমানার শেষ প্রান্তের নিরিবিলি এই ভবন এখন মাদকসেবীদের নিরাপদ আশ্রয়।
প্রায় ছয় বছর আগে ছাত্রীদের জন্য নির্মাণ করা একটি হলে এখনো আবাসন শুরুই হয়নি। অন্যদিকে ২৫০ আসনের বেগম রোকেয়া হলে থাকতে হচ্ছে চারশোর বেশি ছাত্রীর। ছাত্রদের হলগুলো ২০০৯ সালে একযোগে বন্ধ করে দেয়া হয় ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের জেরে। তারপর প্রায় ১৬ বছর কেটে গেলেও ঘোষণা আসেনি বন্ধ হল খোলার।
জেলার বাইরের শিক্ষার্থীরা আবাসন সুবিধা তো পাচ্ছেনই না বরং সন্ধ্যা পেরোলে আতঙ্কে থাকতে হয় নিজের ক্যাম্পাসেই। কলেজ চত্বর ও এর আশপাশের সড়কগুলোতে খুন, ছিনতাই তো হয়ই,ঘটেছে পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনাও। নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাই কলেজ প্রশাসনের অধীনে কলেজের হল চালুর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে নজর দেয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের।
২০০৯ সালে বন্ধ করে দেয়া হলগুলো ব্যাবহার না হওয়ায় বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সংস্কার করে আবাসন উপযোগী করতে বড় বরাদ্দ প্রয়োজন। তবে মেয়েদের জন্য ছয় বছর আগে নির্মাণ করা হলের বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ হলেই আবাসন শুরু হবে জানান অধ্যক্ষ।
২০১৬ সালে আক্তার আলী মুন হল ও ২০১৯ সালে শহীদ তিতুমীর হল সংস্কার করা হলেও পরবর্তীতে চালু করা হয়নি।